ভারতের মানচিত্র থেকে বাদ অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ! বিখ্যাত বিজ্ঞান সম্পর্কিত ব্রিটিশ জার্নাল ‘নেচারে’র একটি টুইটে প্রকাশিত হয়েছে ভারতের এমনই মানচিত্রের ছবি। যাকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছেছে।

কী দেখা গিয়েছে ছবিতে? ‘বর্ণবাদ কীভাবে ভারতের বৈচিত্রকে সীমায়িত করছে’ শীর্ষক একটি রিপোর্টের সঙ্গে ব্যবহৃত ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারতের মানচিত্র। সেই মানচিত্র থেকে বাদ জম্মু ও কাশ্মীর এবং অরুণাচল প্রদেশ। দেখা যাচ্ছে উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবের সীমান্ত পরবর্তী অঞ্চলকে খুব দক্ষতার সঙ্গে মুছে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। সেই সঙ্গে অধিৃকত লাদাখ ও কাশ্মীরের অন্যান্য অঞ্চলও অদৃশ্য ‘নেচার’ প্রকাশিত মানচিত্রে।

স্বাভাবিক ভাবেই এমন অসম্পূর্ণ মানচিত্র ঘিরে শোরগোল নেট ভুবনে। বহু ভারতীয়ই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অভিযোগ তুলেছেন, নির্দিষ্ট প্রোপাগন্ডা ছড়াতেই এমন কাজ করা হয়েছে। অনেকেই পত্রিকাটিকে বৈষম্যবাদী বলেও তোপ দেগেছেন। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কোনও কোনও নেটিজেনকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর ও অরুণাচলে আমাদের মানুষরাই বসবাস করেন। তাদের বাদ দেবেন না।’

পাশাপাশি ওই রিপোর্টটির বক্তব্য নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বৈচিত্রকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে এদেশের বর্ণবাদ। দাবি করা হয়েছে, বিজ্ঞানের স্নাতক কোর্সে আদিবাসী এবং দলিতদের প্রতিনিধিত্ব কম। কিন্তু কলা বিভাগে নয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে সাংহাই কো-অপারেশন সম্মেলনে চীনের পক্ষ থেকে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখকে। এমনকী কাশ্মীরকেও দেখানো হয়েছিল পাকিস্তানের অংশ হিসেবে! তাছাড়া চীনের তরফে প্রকাশিত মানচিত্রে ভারতকে দেখানো হয়েছিল একটি অতি ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে। এমনকি, দেখা যায় মানচিত্রে ভারতের থেকে কাজাখস্তানের আয়তন বড়! এই মানচিত্রকে ঘিরেও বিতর্ক ঘনিয়েছিল। এবার নয়া বিতর্ক ঘনাল ‘নেচার’ পত্রিকা প্রকাশিত মানচিত্র ঘিরেও। সূত্র: টাইমস নাউ।