গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে গ্লোরিয়া জিন্স রেস্টুরেন্টের সামনে গুলির ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ পথচারী আমিনুল ইসলাম রোববার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে এ মামলা করেছে।
সোমবার গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) শেখ শাহানূর রহমান এ তথ্য জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু, ওমান প্রবাসি আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন। ওই তিন জনকে গতকাল ঘটনাস্থল থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া মামলায় তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পরিদর্শক শেখ শাহানূর রহমান জানান, রোববার বিকালে বিকাশ করে টাকা না দেয়ায় ওমান প্রবাসী আরিফ হোসেনকে আটক করেন গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশের একটি বিকাশ দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিফ। এরপর পরিচিতদের ফোন করেন আরিফ। ফোন পেয়ে মনির আহমেদ ও মিন্টুসহ চার-পাঁচ জন ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু দোকানিরা বাধা দিলে ওয়াহিদ গুলি ছোড়েন। তার ছোড়া গুলিতে গাড়িচালক আমিনুল ইসলাম এবং রহিম নামে এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও মিন্টুকে আটক করা হয়। রবিবার রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন আমিনুল। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
ঘটনার দিন মো. মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি গ্লোরিয়া জিন্স কফি শপে নাস্তা করতে আসেন। আমিনুল ইসলাম তার গাড়ির চালক। আমিনুলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। ভ্যানচালক আব্দুর রহিম মিয়ার (৫০) গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর চকমানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।