পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান হামলার অস্ত্র সরবরাহকারীসহ জেএমবি’র চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা এলাকার সীমান্ত দিয়ে এসব অস্ত্র ঢাকায় আসে। পরবর্তীতে জেএমবি’র সদস্য মিজান গুলশান হামলার অস্ত্রগুলো নিহত তামীম চৌধুরীর কাছে পৌঁছায়। ডিবি পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন, মো. আবু তাহের (৩৭), মিজানুর রহমান (৩৪), মো. সেলিম মিয়া (৪৫) ও তৌফিকুল ইসলাম ওরফে ডা. তৌফিক (৩২)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান এ সব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গ্রেফতারদের কাছ থেকে হ্যান্ডমেড গ্রেনেড তৈরির মূল উপকরণ ৭৮৭টি ডেটোনেটর ও একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার ভারতীয় সীমান্তে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে নব্য জেএমবির দেশব্যাপী হত্যাকা-ে ব্যবহৃত গ্রেনেড তৈরির মূল উপকরণ ডেটোনেটর, জেল ও অস্ত্র গ্রেফতারকৃতরাই ভারতীয় সীমান্ত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসতো।
তিনি আরও জানান, এ বিস্ফোরক ও অস্ত্র সংগ্রহের অন্যতম প্রধান চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার জেএমবি’র বর্তমান দায়িত্বশীল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকায় নতুন করে কোন নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রেফতাররা জেএমবি’র বর্তমান নেতৃত্বের নির্দেশ ও পরামর্শ মোতাবেক এই ডেটোনেটর ও অস্ত্র নিয়ে ঢাকায় আসে। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড তৈরির কাঁচামাল ও হ্যান্ডগানসহ (পিস্তল) অন্যান্য অস্ত্রগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ছোট মিজান ওরফে তারা এবং পরে গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পৌঁছে দেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।