Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:২২ এএম

গত ১৪ বছরে ১১তম বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লো বিদ্যুতের দাম। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় ক্ষোভে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার দাম বৃদ্ধির খবর প্রকাশ হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। ফেসবুকে দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন মূ্ল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস ওঠা দিশেহারা বহু মানুষ।

সরকারের নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ইউনিটে গড়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি মাসের বিল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে। এই প্রথম সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ালো।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিকে পাশ কাটিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে নতুন করে আবারো সবকিছুতে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতে পড়বে মধ্যবিত্তরা।

দফায় দফায় বিদ্যুতের এমন দাম বৃদ্ধিতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের মন্তব্য তুলে ধরা হলো।

ক্ষোভ জানিয়ে ফেসবুকে মাহামুদুল হাসান লিখেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সরকার আমাদের দেশের জ্বালানি তেলের দাম কমায়নি। জ্বালানি তেলে এখন যে টাকা লাভ করতেছে সরকার সেটা হয়তো অন্যান্য দপ্তরের দুর্নীতিতে লোপাট হওয়া টাকার ভর্তুকি দিচ্ছে। বাংলাদেশে একবার যে জিনিসের দাম বাড়ে সেটা আর কখনো কমতে দেখিনি। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণে শুধু তার ক্ষমতাই আছে অন্য কোন কিছুরই নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নেই।

চরম হাতাশ প্রকাশ করে মহিউদ্দিন নামে এক পাঠক লিখেছেন, আমরা খুব খুশি সরকার বাহাদুরের এই সিদ্ধান্তে। কানাডার বেগম পাড়ার উন্নয়নে আমাদের এই টাকা ভূমিকা রাখবে, প্রভুরা বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবে ভেবেই মনটা ক্ষণে ক্ষণে নেচে উঠছে। গ্যাসের দামও বাড়ানোর নিবেদন রইলো

আরেকজন পাঠক লিখেছেন, মাফিয়াতন্ত্র কায়েম হয়ে গেছে, এখন আর কোন কিছু করতে জনগনের রায়ের প্রয়োজন হয়না, কেউ কিছু বললে আদালত দেখায় আবার তাদের বিরুদ্ধে রায় গেলে বিচারককে এজলাসে মারতে যায় এই হচ্ছে এদের অবস্থা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে এমনিতেই জনজীবন যখন প্রায় বিপর্যস্ত তখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শুধু অযৌক্তিকই নয় অমানবিকও।

এস এম আসিফুর রহমান লিখেছেন, সব কিছুর দাম বাড়ানো পায়তারা চলছে। মধ্যেবিত্তের কি খবর তা তো কেউ রাখে না। এমন উন্নয়ন দরকার নেই। দেশের মানুষ চলতে পারে না উন্ননয় উন্নয়ন বলে চিল্লালে হবে। আমার মত গরীবের পেট চলে না গ্রামে বিদ্যুৎ থাকেনা তার উপর দাম বেশি।দ্রব্যমূলের প্রচুর দাম এভাবে সাধারণ মানুষ বাচবে না।আমরা সকল কিছুর সুষ্ঠু বন্টন চাই। যে বড় পদে যায় সে দূর্নীতি করে আর সাধারণ মানুষ আমরা চিল্লাই।এমন গণহারে সব কিছুর দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেলে আমরা চলতে পারনো না ।[বিঃ দ্রঃ আমি কোন দলীয় চামচা না]

আরিফুল ইসলাম নামে এক পাঠকের মন্তব্য, বিদ্যুৎ সেবার অধঃপতন হলেও দামের উন্নয়ন হয়েছে!!বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের বিষয়ে কোনো কথা বললে বিদ্যুৎ বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে!!লুটপাট যদি নাই হবে, তবে দায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কেন!!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সামাজিক মাধ্যম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ