মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘ভারতে পর্যটনের পীঠস্থান। ভারতে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা আপনারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না’। বারাণসী থেকে গঙ্গা বিলাস ক্রুজের উদ্বোধন করে এমনটাই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস ক্রুজের উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা বিলাস ক্রুজের সকল যাত্রীকে অভিনন্দন। আপনারা যা কল্পনা করেছেন এদেশে তা সবই পাবেন। আবার এমন অনেক কিছুই পাবেন যা আপনাদের কল্পনাতীত। ভারতের পর্যটন নিয়ে এককথায় কিছু বলা সম্ভব নয়। হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে ভারতকে। আমাদের দেশ সকলের জন্য মনের দরজা খুলে অপেক্ষায় রয়েছে’। প্রধানমন্ত্রী এ গঙ্গা বিলাস ক্রুজের উদ্বোধনকে এক ঐতিহাসিত মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করেন। এটা দেশের পর্যটনে এক নয়া দিগন্ত উন্মোচন করল বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে বারাণসীতে টেন্ট সিটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পর্যটকদের এ টেন্ট সিটির এরিয়াল ভিউ দেখানো হয় ডিজিটালি।
সুইৎজারল্যান্ডের ৩২ জন পর্যটক নিয়ে যাত্রা শুরু করল এমভি গঙ্গা বিলাস ক্রুজ তারা গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গেই দেখে নিতে পারবেন এ নদীর দু’ধারে থাকা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানও।
২৭টি নদী পেরিয়ে বিলাসবহুল এই ক্রুজ নির্দিষ্ট পথ পেরিয়ে বাংলাদেশে আসবে এবং নদীপথে পৌঁছবে আসাম। মোট ৫১ দিনের যাত্রাপথে এ বিলাসবহুল ভাসমান পাঁচতারা হোটেলটি পাড়ি দেবে ভারতের একাধিক ঐতিহ্যশালী জায়গা, জাতীয় উদ্যানসহ প্রায় ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে। যাত্রীরা দেখতে পারবেন বিহারের পাটনা, ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ, কলকাতা এবং ঢাকাসহ আরো কিছু শহর। এ যাত্রাপথ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ভারতের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো ছুঁয়ে যেতে পারবেন পর্যটকরা। যাত্রাপথে পড়বে মাইয়ং, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী বদ্বীপ মাজুলি, বিক্রমশীলা, সুন্দরবন, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। গঙ্গা বিলাস ক্রুজটি ৬২ মিটার লম্বা এবং ১২ মিটার চওড়া। নদীতে ১.৪ মিটার পানি থাকলে স্বচ্ছন্দে এ ভেসেল যেতে পারবে। তাতে রয়েছে ৩টি ডেক এবং ১৮টি স্যুইট।
এ বিলাসবহুল ক্রুজটি আয়োজন করছে যে সংস্থা, তাদের ওয়েবসাইটে ক্রুজ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোন কোন রাস্তা দিয়ে এ ক্রুজ যাবে সেটাও বলা হয়েছে সেখানে।
যাত্রা শুরুর পর থেকে আট নম্বর দিনে এমভি গঙ্গা বিলাস পৌঁছবে বিহারের রাজধানী পাটনা। বক্সার, রামনগর পেরিয়ে পাটানা যাবে এ ক্রুজ। তারপর সেখান থেকে নদীপথে পৌঁছবে কলকাতা। ফারাক্কা ও মুর্শিদাবাদ হয়ে ২০তম দিনে সেটা পৌঁছবে কলকাতা। পরদিন সেটা ঢাকার দিকে রওনা দেবে। পরের ১৫ দিন বাংলাদেশের পানিসীমায় থাকবে এমভি গঙ্গা বিলাস। তারপরে গুয়াহাটি হয়ে ভারতে ঢুকবে। শিবসাগর ডিব্রুগঢ় গিয়ে পৌঁছবে বিলাসবহুল সেই ক্রুজ।
২৭টি নদীপথ নিয়ে প্রায় ৩২০০ কিলোমিটার পথ ৫১ দিনে অতিক্রম করবে এমভি গঙ্গা বিলাস। তিন তলার এই ক্রুজে মোট ১৮টি স্যুট রয়েছে। যাতে ৩৬ জন থাকতে পারেন।
গঙ্গা বিলাস ক্রুজের খরচ : বারাণসী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত এ বিলাসবহুল প্রমোদতরীর যাত্রার খরচ আকাশছোঁয়া। ৫১ দিনের এ ক্রুজ সফরে মাথা পিছু খরচ ১২ লাখ টাকা। রাত পিছু খরচ পড়বে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।