মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন কার্যত ন্যাটোর সদস্য হয়েই গিয়েছে, এমনই মত সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভের। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, তাদের দেশের সেনার কাছে যথেষ্ট অস্ত্র মজুত আছে। কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে সেই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও রয়েছে।
ন্যাটো সদস্য দেশগুলির চেয়ে কোনও অংশে কম নয় ইউক্রেন, সেই কথা মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ হল, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে ইউক্রেনের আগ্রহ। প্রতিবেশী দেশ ন্যাটোর সদস্য হলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন। সেই সুযোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও ইউক্রেনকে উস্কানি দিয়ে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা দুনিয়ার একাধিক দেশ ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে। যুদ্ধাস্ত্র থেকে শুরু করে ত্রাণ, সমস্ত দিক থেকেই ইউক্রেনের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ। তারপরেই রাশিয়ার দাবি ছিল, বকলমে ন্যাটোর সঙ্গেই লড়তে হচ্ছে তাদের। পুতিনের দেশের মতে, রুশ সেনার সামরিক অভিযানকে আগ্রাসন বলে দাগিয়ে দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু সেই যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য পাঠিয়ে যুদ্ধ জিইয়ে রাখছে পশ্চিমি দুনিয়া। ন্যাটোর শক্তির সঙ্গেই লড়তে হচ্ছে রাশিয়া।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ। সেখানেই বলেছেন, শীতকাল শেষ হতেই ফের নয়া উদ্যমে যুদ্ধ শুরু করবে দুই পক্ষই। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমান, আগের তুলনায় এবার যুদ্ধের ভয়াবহতা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বলেছেন, “দেশ হিসাবে, দেশের সেনাবাহিনী হিসাবে আমরা ন্যাটোর সদস্য। কার্যত আমরা ন্যাটোর সদস্য হয়েই গিয়েছি। হ্যাঁ খাতায়-কলমে সদস্যপদ পাইনি ঠিকই। তবে আমাদের পূর্ণশক্তির সেনাবাহিনী রয়েছে, এবং সঠিক সময়ে তার ব্যবহারও করতে পারি। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির চেয়ে কোনও অংশে কম নই আমরা।”
এমন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বরং কিছুদিনের মধ্যেই নিয়মমাফিক ন্যাটোর সদস্যপদ পেয়ে যাবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস তার। সাক্ষাৎকারের মধ্যেই তিনি বলেছেন, “আমার কথায় বিতর্ক হবে কেন? এটাই তো সত্যি। আমি জানি অদূর ভবিষ্যতে আইন মেনে আমরা ন্যাটোর সদস্যপদ পাব।”এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে অবশ্য রাশিয়ার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে পুতিনের সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পরে ন্যাটোর অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হবে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র: এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।