Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানুষকে সম্মান দেওয়ার প্রবণতা কমেছে: অমর্ত্য সেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:১৭ এএম

বিভাজনের রাজনীতির কারণে মানুষকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার প্রবণতা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, অন্যের বক্তব্য শুনতে আপত্তি করা হচ্ছে। মতের মিল না হলে মানুষকে মারধর করা হচ্ছে। এসব কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।

তিনি বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করার প্রবণতা বাড়াতে হবে। পার্থক্য ত্যাগ করতে হবে। দূরত্ব কমাতে হবে। খবর এনডিটিভির।

অমর্ত্য সেন বলেন, ভারতে এখন যে ঘৃণা-বিদ্বেষ ও বিভেদের পরিস্থিতি চলছে, তা বেশি দিন চলবে না। ভারতে কখনও এমন পরিস্থিতি বেশি দিন চলেনি বলে জানান তিনি।

কলকাতার সল্টলেকে রোববার রিসার্চ সেন্টারে প্রতীচী ট্রাস্ট এবং নো ইয়োর নেইবারের আয়োজনে বৈচিত্র্যের সমন্বয় শীর্ষক আলোচনা সভায় হিন্দু-মুসলিম যুক্ত সাধনার বিষয়ে তাজমহলের নিদর্শন তুলে ধরেন অমর্ত্য সেন।

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরা যেভাবে বিভাজন চায়, সেটাতে আমি আর অবাক হই না। অন্যদিকে, অমর্ত্য সেনের বিজেপিবিরোধী মন্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভারত নিয়ে অমর্ত্য সেনকে ভাবতে হবে না। সারাবিশ্বেই ভারত এখন শক্তিশালী। তবে পশ্চিমবঙ্গে বেশি দিন এমন অবস্থা চলবে না। এখানে পরিবর্তন হবেই। সেটা অমর্ত্যবাবু জেনে রাখুন।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দিলীপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, অমর্ত্য সেন শুধু বাংলা বা ভারতের নন; তাঁর কথায় সারা পৃথিবীর জ্ঞানচর্চা সাধন হয়। তাই তাঁর সম্পর্কে বলার আগে পেটে কালির অক্ষরের চিহ্ন কিছুটা হলেও থাকতে হয়।

অমর্ত্য সেনের বক্তব্য প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, একজন প্রকৃত চিন্তাবিদ হিসেবেই তিনি তাঁর উপলব্ধি জানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ থেকে অমর্ত্য সেন- ভারত যে ট্র্যাডিশন বহন করে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় বহুত্ববাদের কথা বলা হয়। তিনি সে কথাই ব্যক্ত করেছেন।



 

Show all comments
  • MD Akkas ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৭ এএম says : 0
    পাশের দেশের বিজেপি । আর আমার দেশের আওয়ামী লীগ এরা সবাই একই সূত্রের গাঁথা। এই দল দুটোর নেতাদের মুখে লাগাম নেই এরা যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে। আমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবেসে দেশে বাস করেছি ।হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খৃষ্টান সবাই সবার সুখে দুখে এগিয়ে এসেছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ