Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক যুগেও শেষ হয়নি ফেলানী হত্যার বিচার

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার এক যুগ আজ। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাÐের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি তার পরিবার। বিচারিক কাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনো ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ফেলানীর বাবা-মা। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বিচারিক কাজ বিলম্বিত হলেও শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রত্যাশা বিশিষ্টজনদের।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। ফেলানীর লাশ কয়েক ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় তোলে। পরে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। বিজিবির আপত্তিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুন:বিচার শুরু হলেও সেখানে খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের মাধ্যমে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেণ। পিটিশনের ভিত্তিতে কয়েক দফায় শুনানীর দিন পিছালেও এখনো আদালতেই ঝুলে আছে পিটিশনটি। এ অবস্থায় অনেকটা হতাশার মধ্যে থাকলেও মেয়েকে হত্যাকারীর সবোর্চ্চ শাস্তিসহ ন্যায় বিচারের আশা করছেন তার পরিবার।
ফেলানীর বাবা মো. নুর ইসলাম জানান, মেয়ে ফেলানীকে বিয়ে দিতে সাথে করে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় আমার চোখের সামনে বিএসএফ সদস্য অমিও ঘোষ আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই। দুদেশের সরকার যেন সঠিক বিচারটা করে।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও ফেলানীর বাবার আইনি সহায়তাকারী অ্যাড. আব্রাহাম লিংকন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের সুপ্রিমকোটে দাখিল করা রিট পিটিশনটির শুনানী এখনও শুরু হয়নি। বিলম্ব হলেও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও শান্তিপূর্ণ সীমান্ত প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করি।



 

Show all comments
  • Mohmmed Dolilur ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:৩৭ এএম says : 0
    হবে হবে ইনসআললাহ এক বসর পরে,তবে এই ভাবে নয়,একে সত্তর পেলানীর রক্ত খেয়ে।আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না যেমন,বোনের রক্ত ও বৃথা যেতে পারবে না,শুধু সময়ের অপেক্ষা।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৪:১৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চায় না ফেলানির বিচার। ফেলনি হত্যার পরে আজ পর্যন্ত ২৫/৩০ সীমান্ত হত্যা করেছে ভারত কিন্তু একটা হত্যার প্রতিবাদে পর্যন্ত সরকার করে নাই আমাদের সরকার ভারতকে বাংলাদেশী হত্যার green light ছাড়া আর কিছু নয়। সরকার যদি একটি হত্যার মামলা ইউনাইটেড ন্যাশনাল মানবাধিকার কমিশন নিয়ে যেত তাহলে ভারত সীমান্ত হত্যা করা বন্ধ করতে বাধ্য হত।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৪:১৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চায় না ফেলানির বিচার। ফেলনি হত্যার পরে আজ পর্যন্ত ২৫/৩০ সীমান্ত হত্যা করেছে ভারত কিন্তু একটা হত্যার প্রতিবাদে পর্যন্ত সরকার করে নাই আমাদের সরকার ভারতকে বাংলাদেশী হত্যার green light ছাড়া আর কিছু নয়। সরকার যদি একটি হত্যার মামলা ইউনাইটেড ন্যাশনাল মানবাধিকার কমিশন নিয়ে যেত তাহলে ভারত সীমান্ত হত্যা করা বন্ধ করতে বাধ্য হত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ