হাটহাজারী, উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় আগামী ২৯ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩ দিনের ইজতেমা। ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যয়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ স্থানীয় ও বিভিন্ন উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে লোকজন অংশ নিচ্ছেন প্যান্ডেলের কাজসহ বিভিন্ন কাজে। চারিয়া গ্রামের শত শত একর কৃষি জমিতে এই প্রথম চট্টগ্রাম জেলার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারিয়া ইজতেমায় যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রাম, নাজিরহাট মহাসড়কের হাটহাজারী পৌরসভা থেকে সড়কের দু’পার্শ্বে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ ও গাছের ঢাল পালা। যাতে ইজতেমায় আগত যানবাহন নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারে। রাস্তার সংস্কার কাজ পুরোদমে চলছে। মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেলের চর্তুদিকে ১৬শ টয়লেট তৈরী করা হচ্ছে। পানির জন্য চতুরপার্শ্বে ১০টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। ওজু ও গোসলের জন্য ১০টি পানির হাউজের কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে।প্যান্ডেলে বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজও শেষ হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ দুইটি সরকারি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ওপরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। অপরদিকে প্যান্ডেলের চতুরদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে চারটি ক্যাম্প করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ইজতেমা উপলক্ষে দুইহাজার পুলিশ ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা রাস্তায় কোন প্রকার যানজটে না পরে তার জন্য সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
চারিয়া ইজতিমার জিম্মাদার মুফতি জসীম উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতি, শুক্রবার ও শনিবার অনুষ্ঠিত ইজতেমায় প্রায় ১০ লক্ষ লোকের সমাগম হবে আশা করছি। ইজতেমার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এ বিশাল জমায়তের জন্য হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমার স্ব স্ব উদ্যোগে কাজ করছেন রাত দিন।