প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গত বছরের শেষ প্রান্তে এসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের আভাস দেন পরীমনি। সামাজিক মাধ্যমে কয়েক দফা পোস্টের পর রক্তমাখা বালিশ- চাদরের ছবি দেন তিনি। ছবিটি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন রাজ মেরে রক্তাক্ত করেছেন পরীকে। কিন্তু এবার জানা গেল আসল ঘটনা। আসলে ওই রক্ত রাজের ছিল, পরীমনির না। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন রাজ যে বাড়ি থাকেন তার ম্যানেজার।
সেদিনের ওই রক্ত পরীমনির না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অ্যাকুয়ারিয়াম রাখতে গিয়ে রক্তারক্তি হয়েছে। রাজ নিজেই অ্যাকুয়ারিয়াম সরাচ্ছিলেন। সেটি পড়ে ভেঙে রাজের হাত কেটে গেছে। ওই সময় রাজ্যও তো পাশে ছিল। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না।’
মধ্যবয়স্ক ওই ম্যানেজারের কাছে আরও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে রেগে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এত কিছু বলতে পারব না। এটা বলা কি আমার দায়িত্ব? একটু শান্ত হয়ে আবার তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাটগুলো দেখভাল করছি অনেক দিন। প্রতিদিনই তাদের (রাজ-পরী) সঙ্গে দেখা হয়।’
রাজ-পরীর মাঝে কী এমন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই যেমন ঝগড়া হয়, এটি তেমনই। অনেক মিলতালও দেখি তাদের মধ্যে। হঠাৎ করে কী যে হলো, বুঝতে পারলাম না!’
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রোববার ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন নায়িকা। তিনি লেখেন—‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন।’ এর মাঝে রোববার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আবার পরীমনি তার নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
এদিকে পরীমনির এই চলে যাওয়ার পেছনে গডফাদারের ইন্ধন দেখছেন শরীফুল রাজ। মঙ্গলবার ভোরে শরীফুল রাজ একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে লিখেছেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লিভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স। ’ এর অর্থ কী? এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো গডফাদার রয়েছেন? নাকি শরীফুল রাজ কোনো গডফাদারের হুমকি পেয়েছেন? চলচ্চিত্রে এমন ঘটনা নিত্যই ঘটে। অভিনেতা সালমান শাহর মৃত্যুর পেছনেও গডফাদারের হাত রয়েছে বলে এখনো অনেকে মনে করেন!
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।