নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়ে টানা তৃতীয়বার এ আসরের দ্রæততম মানব হলেন নৌবাহিনীর অ্যাথলেট মেজবাহ আহমেদ। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে পুরুষ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হন মেজবাহ। একই দলের আব্দুর রউফ ১০.৭০ সেকেন্ড সময়ে পান দ্বিতীয়স্থান। আর ১০.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হন সেনাবাহিনীর শরিফুল ইসলাম।
সাফল্য পেয়ে উচ্ছ¡সিত মেজবাহ জানান, দৌড় শুরু করার পর শেষ ৫০ মিটারে গতি বাড়িয়ে এবং ফিনিশিং পয়েন্টে চেস্ট বাড়িয়ে দিয়েই নাকি শ্রেষ্ঠত্ব তুলে নেন তিনি। এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় সেরা হয়ে টানা পাঁচবার দেশের দ্রæততম মানবের খেতাব ধরে রাখলেন বাগেরহাটের সন্তান মেজবাহ। যদিও এবার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল মেজবাহকে। তার চেয়ে মাত্র .০৭ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেন নৌবাহিনীর আরেক প্রতিভাবান অ্যাথলেট আব্দুর রউফ। যিনি এবারই প্রথম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিয়েছেন। আর প্রথম অংশগ্রহণে কৃতিত্ব দেখানোর ফলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়তে হয়েছে দেশের দ্রæততম মানব মেজবাহকে।
২০০৯ ও ২০১০ সালে টানা দু’বছর জুনিয়র মিটে দ্রæততম বালক হয়েছিলেন মেজবাহ। মাঝে দু’বছর নিজেকে প্রস্তুত করে ২০১৩ সালে মিটে নাম লেখান। ওই বছর অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে বিকেএসপির হয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতে প্রথমবার দ্রæততম মানব হন। এরপর তিন বছরে জাতীয় ও সামার চ্যাম্পিয়নশিপ মিলে আরও চারবার এই খেতাবটি জিতেন তিনি। তবে এবার যে সহজে নিজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি তা নিজেই স্বীকার করলেন মেজবাহ। তিনি বলেন, ‘এক সময় মনে হয়েছিলো ধরাই খেয়ে গেলাম কিনা। ঠিক তখনি উসাইন বোল্টের টেকনিকটা কাজে লাগই। শেষ ৫০ মিটার গতি বাড়াই। আর তাতেই কাজ হয়।’ অলিম্পিকের পর এই খেতাবটা ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মেজবাহ’র কথা, ‘অলিম্পিক গেমসের মতো বড় আসরে খেলে আসার পর যদি আজ দ্রæততম মানবের খেতাবটি ধরে রাখতে না পারতাম, তাহলে সবাই ভাবতেন আমি হারিয়ে গেছি। অলিম্পিকের পর নাকি অনেকেই হারিয়ে যায়। তাই এ জয়টা আমার প্রয়োজন ছিল।’ সতীর্থ আবদুর রউফ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে অনুশীলন করেছি। প্রায় আমার সমকক্ষই। একই সময় ছিল আমাদের। দু’জনে একই সময় নিয়ে হিট থেকে চূড়ান্ত পর্বে এসেছি। তাই অস্বীকার করবো না এই প্রথম আমার মনে হয়েছে, খুব কষ্ট করে স্বর্ণ জিতেছি। রউফকে দেখে আমার মনে হচ্ছে সত্যিই ভালো মানের অ্যাথলেট উঠে আসছে।’ সাফল্য পেতে হলে দীর্ঘ মেয়াদী অনুশীলন ক্যাম্পের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান মেজবাহ। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের খুবই দরকার। দেখুন গৌহাটি সাফ গেমসে অস্ট্রেলিয়াতে অনুশীলন করে শ্রীলংকার হিমাসা ইশান স্প্রিন্টার (১০.২৮ সেকেন্ড) প্রথম এবং মালদ্বীপের হাসান সাফী আমেরিকাতে অনুশীলন করে এসে গেমসে খেলেছে। সেখানে আমি ঢাকায় অনুশীলন করে চতুর্থ হয়েছি। তাই ভালো কিছু করতে হলে অনুশীলনের বিকল্প নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।