পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রত্যেকটা দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানাতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী তা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে কাওরান বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সঙ্গেও সভা করেন মন্ত্রী।
ফল ও কাঁচাবাজারের দাম নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় বেগুন ৫০ টাকা আর রংপুরে তা ১৫ টাকা। দামে এমন পার্থক্য কেন হয় তা চিহ্নিত করতে ভোরে ট্রাক বাজারে আসার সময় তদারকি বাড়ানো হবে। তবে পণ্যের খুচরা-পাইকারিতে দামের বেশ পার্থক্য রয়েছে। কোথাও যদি চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায় তাহলে সেই তথ্য পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
তিনি বলেন, চালের বাজারে কিছুটা অসঙ্গতি দেখা গেছে। পাইকারিতে মোটা চাল ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা। কিন্তু খুচরায় সেটা আরও বাড়বে। তবে এখন আর মোটা চাল কেউ খান না। রিকশাচালকও চিকন চাল খোঁজেন। খুচরা বাজারে তদারকি আরও বাড়ানো হবে। এ জন্য টাস্কফোর্স কাজ করবে। গোশতের মূল্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, গোশতের দাম নিয়ন্ত্রণ করে সিটি করপোরেশন। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেখানে উৎসবের সময় বিশ্বের সব দেশে পণ্যের দাম কমে, এখানে উল্টো বাড়ানো হয়। ক্রিসমাসের সময় আমেরিকাতে ২০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে পূজায় বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে। অথচ এখানে সিয়াম-সাধনার মাসে দাম বাড়ানো হয়েছে। আল্লাহ আপনাদের মাফ করবেন না।
বাজার নিয়ন্ত্রণে করপোরেট ম্যানেজমেন্ট থাকা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর কাজ না প্রতিদিন বাজারে এসে পণ্যের দাম তদারকি করা। প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা বাজারে ব্যয় করি, তাহলে ৫০ বিলিয়ন রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কীভাবে। তিনি আরও বলেন, ভ্যাট হার কমিয়ে দেওয়ার পরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন সয়াবিন তেল এসেছে। চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে, কোনো সংকট নেই। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন সুযোগ না নেয়। কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পণ্যের পাইকারি বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু বিভিন্ন খুচরা বাজারে যখন যায়, তখন দূরত্ব বিবেচনায় পরিবহন খরচের কারণে দামে পার্থক্য থাকতে পারে। তবে পাইকারি বাজারে যেন দামটা ঠিক করা যায়। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।