মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের তাওয়াং সীমান্তে একটি বিতর্কিত এলাকায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষের পর ভারত চীনের সাথে ভাগ করা সীমান্তে তার সৈন্যদের উপস্থিতি একটি অভূতপূর্ব স্তরে বাড়িয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেন, ‘আজকে চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে যা আমরা আগে কখনোই করিনি। এটি চীনা আগ্রাসন মোকাবেলা করার জন্য করা হয়েছে।’ তিনি এর আগেও বারবার বলেছেন যে, সীমান্তে শান্তি না আসা পর্যন্ত সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।
২০২৩ সালের জুন মাসেই উদ্বোধন হওয়ার কথা বালিপাড়া-চারদুয়ার-তাওয়াংয়ের সেলা ও নপিচু সুড়ঙ্গের। অরুণাচলের এই সুড়ঙ্গ উদ্বোধনের আগে থেকেই যদিও ভারতে সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা ঘিরে আরও এক তথ্য সামনে আসছে। শোনা যাচ্ছে, সীমান্তের রাজ্যগুলিতে ভারত এমন কিছু সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করছে, যে সুড়ঙ্গে রাখা যাবে মিসাইল।
প্রসঙ্গত, চীন নির্মাণ করে চলেছে একটি কঠোরতম আন্ডারগরাউন্ড শেল্টার। যে মাটির নিচের আশ্রয়টি বম্ব-রোধক। লাসার কাছে গোঙ্গার এয়ারবেসের নিকট চীন এমন একটি আশ্রয় তৈরি করে ফেলেছে। এছাড়াও অরুণাচলে নিমচি এয়ারপোর্টের কাছে এমন একটি বেস তারা বানিয়েছে। এরপর ভারত শর্ট রেঞ্জ ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সমেত বিভিন্ন অস্ত্র যাতে মজুত করা যায়, তার যোগ্য একটি সড়ক-সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনায় রয়েছে। আর তা সীমান্তের রাজ্যগুলিতেই তৈরি করতে চাইছে ভারত।
ভারতের সঙ্গে চীনের ৩,৪৮৮ কিলোমিটারের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে অরুণাচল সীমান্তে চীন কমিয়ে ফেলেছে তাদের বাড়তি ট্রুপ। ফলে তারা যে অস্ত্রযুদ্ধেই শান দিচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। চীনে কমিউনিস্ট পার্টির সদ্য সমারোহে জিনপিং ফের মসনদে বসতেই চীনের সেনার এই স্ট্র্যাটেজি দেখা যায়। তবে শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চীনের সীমান্তের ওপারে ফারি জোংয়ে বাড়তি সেনা বসিয়েছে পিএলএ।
চীন সীমান্তে দেখা যাচ্ছে অস্ত্র সজ্জা, ফাইবার নেটওয়ার্ক, ইলেকট্রিসিটি সমেত পরিকাঠামো উন্নয়ন। তা দেখে বসে নেই ভারত। এদেশেও সীমান্ত এলাকা ঘিরে পরিকাঠামো মজবুতির প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনা কৌশলগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায়। সমস্ত কমান্ডারদের স্পট সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আগামীর যুদ্ধ কেবলই দন্ডায়মান অস্ত্র দিয়েই জেতার চেষ্টা হবে। আর সেই দিক থেকে শত্রুকে ছাপিয়ে যেতে ভারত তৈরি হচ্ছে নিজের মতো করে। সূত্র: আরএফআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।