মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে শিক্ষার অধিকার আইন (আরটিই) ২০০৯ এর অধীনে বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হলেও বিজেপি সরকার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বন্ধ করায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত সরকার।–দ্য হিন্দু, ক্লারিয়নইন্ডিয়া
ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র নবম এবং দশম শ্রেণীর সংখ্যালঘু ছাত্রদের প্রাক-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় আনা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের মুসলিমবিরোধী এজেন্ডার অংশ হিসেবে দেখছে সমালোচকরা।
সরকারের এ পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিশিষ্ট মুসলিম নেতা কাসেম রসুল ইলিয়াস বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে। বৃত্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত তার সেই নীতিরই অংশ। তিনি বলেন, সরকার মুসলমানদের শারীরিক ও অর্থনৈতিকভাবে টার্গেট করেছে। এখন দেশটির সরকার শিক্ষায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে। ঘটনাগুলো দেখলে মনে হয়, যারা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, গণহত্যার ডাক দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এখন শিক্ষা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ইলিয়াস।
তিনি মুসলিমদের ব্যাপারে বিজেপির গৃহীত দ্বৈত নীতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। একদিকে, তারা সম্প্রদায়ের (দুর্বল) অংশগুলি সম্পর্কে কথা বলে এবং লম্বা দাবি করেছিল অন্যদিকে, বৃত্তি প্রত্যাহার করে। ইলিয়াস বলেন, এই ধরনের বৃত্তি থেকে উপকৃত হয় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সংখ্যালঘু, দলিত এবং আদিবাসীদের প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তি বন্ধ করার জন্য কংগ্রেস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিন্দা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সম্বোধন করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রশ্ন করেন যে, বৃত্তি বন্ধ করে কত আয় হবে? প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এই সিদ্ধান্তকে "চমকপ্রদ, অত্যাশ্চর্য এবং লজ্জাজনক" বলে বর্ণনা করেছেন।
"বিজেপি-মোদী সরকার এসসি-এসটি-ওবিসি-সংখ্যালঘুদের শিশুদের প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের উপর একটি "মারাত্মক আঘাত" প্রদান করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।