পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার চলমান সঙ্কট সমাধানে সবচেয়ে কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক। এ লক্ষ্যে মস্কো, তেহরান ও আংকারার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার খসড়া ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মস্কোয় তিন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ তথ্য জানান। বৈঠকে ইরানের পক্ষে অংশ নেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু এবং তিন দেশের অন্য কূটনৈতিক কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে তিন দেশ রাজনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আট দফা ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। এতে তিন দেশই সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও ভৌগোলিক অখ-তার প্রতি সম্মান দেখানোর অঙ্গীকার করেছে। পাশাপাশি সামরিক উপায়ে নয় বরং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান এবং এ কাজে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া, পূর্ব আলেপ্পো থেকে সন্ত্রাসীদের সরিয়ে নেয়া, যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করা এবং সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানে সহযোগিতার বিষয়ে তিন দেশ তাদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক। এ ঘোষণার সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে- সিরিয়ায় তৎপর উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস ও আন-নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে তিন দেশ একসঙ্গে লড়াই করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এর আগে খবরে বলা হয়, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য গত মঙ্গলবার মস্কোতে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরান এক বৈঠকে মিলিত হয়। এ বৈঠকে দেশগুলোর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা অংশ নেন। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিন দেশের স্বতন্ত্র অবস্থান ও করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। এছাড়া আমরা কোথায় পৌঁছাতে চাই বৈঠকে সে বিষয়টি অনুধাবনের চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, এই বৈঠকে রাতারাতি অলৌকিক কোনও ফল আসবে- এমন নয়। তবে আমরা তিনটি পক্ষ পরস্পরকে পরস্পরের কথা শোনার সুযোগ করে দেবো। সিরিয়ার তুরস্কের স্বার্থের একটা বড় জায়গা হচ্ছে, এটা নিশ্চিত করা যাতে কুর্দি মিলিশিয়ারা সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও বেশি ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে। এছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিয়েও আঙ্কারার অস্বস্তি রয়েছে। তবে আসাদকে যেকোনও মূল্যে ক্ষমতায় রাখতে আগ্রহী রাশিয়া ও ইরান। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হবে কিভাবে প্রায় অর্ধযুগ ধরে চলে আসা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান কীভাবে ঘটানো যায়। যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন, আলেপ্পো নগরীতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং সেখানকার বেসামরিক মানুষদের সহায়তা করার টেকসই প্রচেষ্টা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। আরটি, ফক্স নিউজ, আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।