মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মারণাস্ত্র উৎপাদনকারী বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ষষ্ঠ অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য এবং সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে আছে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থের অঙ্কে এর পরিমাণ ৫৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অস্ত্র বিক্রিতে পিছিয়ে নেই এশিয়া মহাদেশও। বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এশিয়া এবং ওশেনিয়া থেকে সম্মিলিতভাবে ২১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সমীক্ষার বরাত দিয়ে জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক এবং এমন পণ্য বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে যুক্তরাষ্ট্রের লকহেড মার্টিন। আয়ের পরিমাণ ৬০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবশ্য ২০২০ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ আয় কম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
শুধু চীনের আটটি প্রতিষ্ঠানের সমষ্টিগত আয় ১০৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান রেথিয়ন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৯ দশমিক ১ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়ে রেথিয়নের মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা বাকি মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যথাক্রমে বোয়িং, নর্থরপ গ্রুম্মান ও জেনারেল ডিনামিক্স। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৪২, ২৯ দশমিক ৮৮ এবং ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান বে সিস্টেমস। ২০২১ সালে অস্ত্র বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির আয় ২৬.০২ বিলিয়ন ডলার।
অস্ত্র বিক্রিতে পিছিয়ে নেই এশিয়া মহাদেশও। বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এশিয়া এবং ওশেনিয়া থেকে সম্মিলিতভাবে ২১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একত্রিত মোট আয় ১৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। শুধু চীনের আটটি প্রতিষ্ঠানের সমষ্টিগত আয় ১০৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
শীর্ষ আটের তালিকায় সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে রয়েছে দুই চীনা প্রতিষ্ঠান নরিনকো ও এভিক। নরিনকোর আয় ২০২১ সালে ২১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সর্বাধিক প্রবৃদ্ধি হয়ে এই নরিনকোর।
অন্যদিকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ এভিকের ২০২১ সালে আয় হয়েছে ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।