শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
অবন্তী মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানে না। তার জানারও কথা না। অবন্তী ক্লাস ফাইভে পড়ে। ফাইভে পড়ুয়া একটা মেয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার কথা না। অবন্তীর জানতে ইচ্ছে করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কি হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধটা কি? অবন্তী ছোট বলে কেউ তাকে বলে না। বিজয়ের মাস আসলে একটা উৎসব হয় এতটুকুই। টিভিতে মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখায়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করে। অবন্তীর মাথায় একটা বিষয় ঢুকছে না। মুক্তিযুদ্ধ করে কেন। মুক্তিযুদ্ধ করার দরকার কি। অনেকেই বলে স্বাধীন হওয়ার জন্য। অবন্তীর তখন প্রশ্ন জাগে স্বাধীনতা মানে কি? অবন্তীর প্রশ্ন আর প্রশ্ন।
বিজয় দিবসের দিন অবন্তীর মামা আসল। অবন্তীর মামা অবন্তীর সাথে গল্প করতে পছন্দ করে। একমাত্র মামাকেই অবন্তীর বন্ধু মনে হয়। মামার কাছ থেকেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। মামা সবসময় থাকে না। তাই প্রশ্ন গুলিও জানা হয় না। মামার জন্য একগাদা প্রশ্ন সবসময়ই অবন্তী লিখে রাখে। এবার শুধু বিজয় দিবস সম্পর্কে জানবে। অন্য কিছু না।
অবন্তী মামাকে প্রশ্ন করে মামা বিজয় দিবস সম্পর্কে বল। অবন্তীর মামা বিজয় দিবস সম্পর্কে অবন্তীর ধারণা জানতে চায়। অবন্তী তার ধারণা বলে। মামা তখন বলে তাহলে তুই সবই জানিস। আর কি জানতে চাস।
অবন্তীর রাগ হয়। অবন্তী কিছুই জানে না। শুধুমাত্র ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে এতটুকুই জানে। এই জানাটাকে মামা বলে সে সব কিছু জেনে গেছে।
অবন্তীর রাগ দেখে মামা হাসতে থাকে। অবন্তীর রাগ বাড়তে থাকে। মামার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিতে হবে। অবন্তী চলে যাচ্ছিল মামা খপ করে ধরে ফেলে।
পাগলি মেয়ে। তুই যতটুকু জানিস ততটুকু সবাই জানে। এতটুকুতেই সবাই সন্তুষ্ট থাকে। এর বেশি কেউ জানতে চায় না। শুনতেও চায় না। তুই যখন জানতে চাচ্ছিস অবশ্যই বলব। তকে একটা উদাহরণ দিলে তুই বুঝবি। তকে জিন্নাহ, ভুট্টু ইত্যাদি বললে তুই বুঝবি না।
ধর, তর বান্ধবীর নাম অর্পা।
মামা আমার বন্ধুবীর নাম অর্পা না। ওর নাম শম্পা।
এই দিলি মেজাজাটা খারাপ করে। গল্পের মধ্যে কথা বলতে হয় না। গল্পটা মনোযোগ দিয়ে শুনে তারপর মন্তব্য করতে হয়।
মামা আমি মন্তব্য করছি না। সত্যি কথা বলছি।
এই হচ্ছে তকে নিয়ে জ্বালা। শুন যা বললাম, শম্পা উওর পাড়ায় থাকে। তুই থাকিস দক্ষিণ পাড়ায়। সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে উওর পাড়া এবং দক্ষিণ পাড়ার দায়িত্ব শম্পার উপর দেওয়া হল। শম্পা করল কি দায়িত্ব নিয়ে শুধু উওর পাড়ার কথা ভাবতে লাগল। তরা সবাই মিলে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে শম্পার হাতে দিস। শম্পা সমস্ত অর্থ উওর পাড়া মানে নিজ পাড়ায় ঢালতে থাকে। তুই প্রতিবাদ করলি, তকে ন্যায্য দাবি দেওয়ার জন্য। ওরা করল কি তর সাথে ছলনা শুর“ করে দিল। উওর পাড়া, দক্ষিণ পাড়ায় নির্বাচন হল। তুই পাস করলি। শম্পা তকে দায়িত্ব দিল না। আবার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে লাগল। তুই ধর্মঘটের ডাক দেওয়াতেই শম্পা তার বাহিনী নিয়ে তকে আক্রমণ করল। তর কিছু নেই। কারণ তুই যুদ্ধ করতে চাস নি। তাই বলে তুই বসে থাকবি। বসে থাকবি না। তুইও প্রতিরোধ গড়ার জন্য চেষ্টা করেছিস। তুই যখন চেষ্টা করে সফল হবি তখন তাকে বিজয় দিবস বলে। বুঝলি পাগলি।
১০ টি অসাধারন শিক্ষনীয় ছোট গল্প
মামা এবার বুঝতে পারলাম। আমরা একটি দেশই ছিলাম। কিন্তু ওরা আমাদের নির্যাতন করত। আমাদের সম্পদ গুলো ওড়াই ভোগ করত। আমাদের শুধু ওদের দাস বানিয়ে রাখতে চাইছিল। তাই আমরা প্রতিবাদ করে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করি। যেই দিন আমরা স্বাধীন হই ঐ দিনটাকে বিজয় দিবস বলে।
একেবারে ঠিক। ফার্স্ট ক্লাস বুঝেছিস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।