মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। শেখার বয়স নেই। এমন কথা মুখে বলা আর কাজে করা এক জিনিস না। বাস্তবে যা করে দেখালেন আমেরিকার বাসিন্দা জয়েস ডিফাউ। ৯০ বছর বয়সে স্নাতক হলেন বৃদ্ধা। কলেজে ভরতির ৭১ বছর পর সফল হলেন। সংসারের পাকচক্রে পড়াশোনা থেকে দীর্ঘ দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বটে। কিন্তু প্রবীণ বয়সে ফিরেও আশ্চর্য জয়লাভে মুগ্ধ করলেন গোটা দুনিয়াকে। প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ৭১ বছরের পুরনো জয়েসের কলেজের অ্যাডমিট কার্ডটি।
জয়েস ডিফাউ আমেরিকার বাসিন্দা। তিনি মা, দাদী। এমনকী তার নাতিদের সন্তান রয়েছে। যদিও যে বয়সে লোকে কলেজে পড়তে যায়, সেই বয়সেই ১৯৫১ সালে উত্তর ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন জয়েস। গার্হস্থ্য অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সাড়ে তিন বছর কলেজ করেন। এর মধ্যে তার জীবনে আসে ডন ফ্রিম্যান। পড়াশোনার মাঝপথে ১৯৫৫ সালে ডনকে বিয়ে করেন জয়েস। বিয়ের পর পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সংসারের পাকচক্রে জড়িয়ে পড়েন। তিন সন্তানের মা হন। তাদের বড় করার দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে। মৃত্যু হয় স্বামী ডনের।
দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন জয়েস। এই পক্ষে ছয় সন্তানের জননী হন। বর্তমান ১৭ জন নাতি-নাতনির দাদী তিনি। এই বয়সে লোকে জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা বলে, পরলোক চর্চ শুরু করে। কিন্তু জয়েসের মনে নতুন করে পড়াশুনোর ইচ্ছে জাগে। পাশে দাঁড়ায় পরিবার। ২০১৯ সালে নতুন করে কলেজে ভর্তি হন তিনি। নিয়মিত কলেজে যেতে হয়নি। তবে অনলাইন ক্লাস করার জন্য ৯০ বছর বয়সে ল্যাপটপ ব্যবহার করা শেখেন জয়েস।
এভাবেই একসময় সফল হন তিনি। প্রথমবার কলেজে ভর্তির ৭১ বছরের ব্যবধানে ৯০ বছর বয়সে স্নাতক হয়েছেন। আমেরিকার বাসিন্দা জয়েস ডিফাউ অন্যদের উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘হাল ছাড়লে চলবে না। আমি জানি কাজটা কঠিন। তবে মনে রাখতে হবে জীবনে চড়াই উৎরাই আছেই।’ সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।