Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাওয়াঙে চীনের সাথে সংঘর্ষ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে ভারতের মোদি সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৮ পিএম

দু’বছর পর ফিরল গালওয়ানের স্মৃতি। এবার অরুণাচলের তাওয়াংয়ে সংঘর্ষে জড়াল ভারত ও চীনের সেনা। সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াং এলাকার এই সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০-৩০ জন ভারতীয় সৈনিক। ভারতীয় সেনার দাবি, ভারতের তুলনায় চীনের লালফৌজের বেশি সংখ্যক সেনা আহত হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে দু’তরফের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

ভারতের কংগ্রেস, তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিবৃতি চেয়ে সংসদে মুলতবি প্রস্তাব পেশ করেছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন সংসদ সদস্য সৌগত রায়। কংগ্রেসের তরফে সংসদ সদস্য মণীশ তিওয়ারি মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন। এদিকে কংগ্রেস সংসদ সদস্য সৈয়দ নাসির হুসেন রাজ্যসভায় ১৭৬ নং নিয়মের অধীনে স্বল্প সময়ের আলোচনার নোটিশ দিয়েছেন এই একই ইস্যুতে। এদিকে ২৭৬ নং নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যসভায় তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন আম আজমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, কংগ্রেসের শক্তি সিং গোহিল।

গতকাল এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আবারও আমাদের ভারতীয় সৈন্যদের উসকানি দিয়েছে চীনারা। আমাদের জওয়ানরা দৃঢ়ভাবে লড়াই করেছেন এবং তাদের কয়েকজন আহতও হয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা দেশের সঙ্গে আছি। এটা নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। চীনা সীমালঙ্ঘন নিয়ে আসত তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ মোদি সরকারের। পাশাপাশি, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার কাছে চীন যেসব নির্মাণ কাজ করেছে, সেই বিষয়ে সৎ হওয়া উচিত মোদি সরকারের। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করে সরকারের উচিৎ জাতির আস্থা অর্জন করা। আমরা আমাদের সৈন্যদের মূল্য এবং আত্মত্যাগের জন্য চিরকাল ঋণী থাকব।’

এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও। তিনি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বে আমরা গর্বিত। সীমান্তে চীনের পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। গত দুই বছর ধরে আমরা বারবার সরকারকে জাগানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু মোদি সরকার শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বাঁচাতে বিষয়টি চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ কারণে চীনের সাহস বাড়ছে।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ