মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের নাগরিক ও সামরিক নেতৃত্বের তরফ থেকে প্রকাশিত সাম্প্রতিক বিবৃতিতে দেশটির ভূ-রাজনীতি কীভাবে তার ভূ-অর্থনীতিকে বদলে দিতে পররাষ্ট্রনীতিতে কৌশলগত পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ, গত ২৭ থেকে ১৮ মার্চ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ইসলামাবাদ সিউিরিটি ডায়ালগ (আইএসডি)-এ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির অর্থনৈতিক সুরক্ষা, আবহাওয়া নিরাপত্তা এবং খাদ্য সুরক্ষার মতো নিরাপত্তার অপ্রচলিত কিন্তু শক্তিশালী দিকগুলোতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পাকিস্তানের কৌশলগত চিন্তাধারার এ ধরনের সংশোধনী এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হতে পারেনি। তবে, দেশটির ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাথে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর প্রভাবকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘটনাচক্রে, পাকিস্তান তার এই কৌশলগত নীতির আনুষ্ঠানিক প্রয়োগের আগেই, ইতোমধ্যে পাক-ভারত সম্পর্কের তিক্ততা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করেছে।
প্রথমত, একটি সম্ভাব্য ইতিবাচক সম্পর্ক বিকাশের ক্ষেত্রে দু’দেশই তাদের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কঠোরভাবে যুদ্ধবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন পাক-ভারত গোপনীয় শান্তির প্রচেষ্টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে। দ্বিতীয়ত, মানবিক আচরণের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ভারতে চলমান করোনা মহামারীর সংক্রান্ত মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দেশটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ করার প্রস্তাব করেছে।
উল্লেখিত বিষয়গুলো গত দু’বছরে দু’দেশের মধ্যে ঘনীভূত কূটনৈতিক তিক্ততাকে মুছে ফেলার জন্য যথেষ্ট না হলেও, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির আবহ সরবরাহ করেছে এবং কোভিড-১৯ এর ফলে উদ্ভূত এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, চীনের শক্তিশালী প্রভাব এবং আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহার পরবর্তী জটিলতার মধ্যে দেশগুলোকে শ^াস ফেলার জায়গা করে দিয়েছে।
অবশ্য, পাকিস্তান-ভারত দুই ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রত্যাশা সুদূর পরাহত বলে মনে হতে পারে। তবে তাদের মধ্যস্থতার প্রক্রিয়াতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জড়িত থাকা এবং পাকিস্তানের কৌশলগত নীতিতে চলমান পরিবর্তনের কারণে ইতিবাচক সম্ভাবনাটিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায় না। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতিতে সাধারণভাবে পাকিস্তান-ভারত-চীন ত্রিভূজে পাকিস্তান ও চীন উভয়ই ভারতকে বৈরি হিসাবে দেখে এবং ভারতকে কৌশলগতভাবে জব্দ করাই তাদের ঐক্যের মূল লক্ষ্য, তবে, তাৎক্ষণিক শান্তি প্রতিষ্ঠার অংশ হিসাবে ভারত ও পাকিস্তানের উভয় রাষ্ট্রদূতদের পুনঃস্থাপন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরায় চালু করা এবং দীর্ঘ বিলম্বিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মতো সিদ্ধান্ত পাকিস্তান, ভারতও চীনের মধ্যকার ‘কৌশলগত ত্রিভূজ’ সম্পর্কে ঐতিহাসিক রূপান্তর ঘটাতে পারে।
আপাত দৃষ্টিতে চীন-পাকিস্তান সম্পর্কটি অত্যন্ত শক্তিশালী হিসাবে পরিগণিত হলেও বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, চীনের আধিপত্যবাদী কূটনীতি একসময় পাকিস্তানের কাছে নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে। পাকিস্তানের ভূ-রাজনীতি এবং ভূ-অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়ার ক্রমবর্ধমান আকাক্সক্ষার কারণে দেশটি নিজের, ভারত এবং চীনের মধ্যকার ত্রিভূজ সম্পর্কের ক্ষেত্রটিকে পুনঃর্নির্মাণে একটি অনবদ্য সুযোগ পেয়েছে। সূত্র : ইউরেশিয়া রিভিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।