মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফের 'চুরির' অভিযোগ। আবার অস্বস্তি। বিরোধীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক অতীতে এমন অন্তত দু'টি কাণ্ড ঘটিয়েছিল ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নের বিপুল আয়োজন প্রমাণ করতে গিয়ে গত সেপ্টেম্বরে একাধিক সংবাদপত্রে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। যেখানে দেখানো হয়েছিল কলকাতার মা ফ্লাইওভার। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
তার পরেই আবার বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডের প্রস্তাবিত এক বিমানবন্দরের ছবি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে ফের 'উন্নয়ন চুরির' অভিযোগ তুলে বঙ্গের শাসক দল বলে, ওখানকার এয়ারপোর্ট বলে বিমান মন্ত্রণালয় যে ছবি টুইট করেছে, তা আসলে পশ্চিমবঙ্গের অন্ডাল বিমানবন্দরের ছবি। এ বার অবশ্য ওই রাজ্যের নয়। ভারতেরও নয়। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ যাকে 'পয়লা নম্বর শত্রু' বলছেন, সেই চীনেরই এক বিমানবন্দরের ছবি 'আপন' করে নেয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকী, সরকারি ভাবেও চলল দেদার প্রচার!
গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের জেওয়ারে গিয়ে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণ করে এসেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদ্রি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে যোগী রাজ্যে 'বিকাশের' ঢালাও প্রশংসাও করেন তিনি। বিপত্তির শুরু ঠিক তার পরেই। কেমন হবে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিমানবন্দর, তা বোঝাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি প্রচারমূলক ভিডিও পোস্ট করা হয়। বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি যা নিজের নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেন তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, অর্জুন রাম মেঘাওয়ালের মতো কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।
এমনকী, ভারত সরকারের 'মাইগভ' টুইটার হ্যান্ডল থেকেও ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। পরে 'গোলমাল' টের পেয়েই ডিলিট করা হয় ভিডিওটি। কিন্তু ততক্ষণে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে স্ক্রিনশট। কারণ, মিনিট দুয়েকের ওই ভিডিওর দ্বিতীয় মিনিটেই নয়ডা বিমানবন্দর বলে যা দেখানো হয়েছে, তা আসলে চীনের দাক্সিং বিমানবন্দরের। স্টারফিশের মতো দেখতে এই বিমানবন্দরটির নকশা তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত ইরাকি স্থপতি জাহা হাদ্রির। বছর দুয়েক আগে চালু চীনের ওই বিমানবন্দরটি নিয়ে যেহেতু প্রায় সব মিডিয়াই খবর করেছিল, তাই 'আসল-নকল' বুঝতে তেমন বেগ পেতে হয়নি নেটিজেনদের।
দেশের জনতা আগের দু'টি 'চুরির ঘটনায়' বিঁধতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবিরকে। এ বার কটাক্ষ ধেয়ে এলো বেইজিং থেকেও! সরব চীনের একাধিক মিডিয়া। চীনের সরকারি চ্যানেল গ্লোবাল টিভি নেটওয়ার্কসে কর্মরত শেন শিউয়েই যেমন লাগাতার টুইট করেই চলেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, 'মাইগভ' এবং উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর টুইটের কোলাজ পোস্ট করে তিনি বলেন, 'শকিং, আবার বিস্ময়করও। ভাবতে অবাক লাগছে যে, নিজেদের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রমাণ দেখাতে গিয়ে এখন বেইজিংয়ের এক বিমানবন্দরের ছবি দেখাতে হচ্ছে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের।' সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।