পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এবং তার সাথে সরকারের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার ঢাকায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে।
সমাবেশ উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগম ঘটেছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই প্রথম সমাবেশ করতে পারছে বিএনপি। এর আগে চার বার সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢকা মহানগর পুলিশ বলছে, ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে বিএনপিকে ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ’ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে আজকের সমাবেশের জন্য গতকাল মৌখিক অনুমতি পায় বিএনপি। এ কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল তিনি বলেন, শুক্রবার বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হবে। আমরা পুলিশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছি। আশা করছি লিখিত অনুমতিও পেয়ে যাবো। রিজভী সমাবেশের ব্যাপারে বলেন, সব প্রস্তুতি আমরা আগে থেকে নিয়ে রেখেছি। সব অঙ্গসংগঠনেরও অনুরূপ প্রস্তুতি আছে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন। তবে তারা ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি। আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, সোয়া ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কমিশনারের সাক্ষাৎ মেলেনি। তিনি বিভিন্ন মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পরে আমাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ১৫ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেদিন তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে চিকিৎসা ও মুক্তি না দেয়া এবং তার সাথে অমানবিক আচরণ করার প্রতিবাদে শুক্রবার (২০ জুলাই) ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে বিােভ সমাবেশ হবে। ঢাকায় বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আহ্বান করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিলে সেদিনই তিনি কারাবন্দী হন। তার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পর বিএনপি বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ও অনশন, গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদান, কালো পতাকা প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ এবং প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এর বাইরে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতিসঙ্ঘ, কমনওয়েলথ ও ইউরোপীয় কমিশনের সহায়তা চেয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার ঘটনাটিও অবহিত করা হয়েছে। এখন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।