Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আগামীকাল কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা পরিণত হবে জনসমুদ্রে

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আগামীকাল কক্সবাজরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার বিকেলে জনসভাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সফল করার জন্য সোমবার বিকেল ৩টায় সভামঞ্চ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার শুভাগমন করবেন এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে তাঁর মেয়াদকালে আরো সাতবার কক্সবাজার এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তাঁর ৮ম সফর। ২০১৭ সালের ৬ মে এই একই স্থানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেছিলেন তিনি। তখন তিনি কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নসহ ব্যাপক মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। মেঘা প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকল্প ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে। বাস্তবায়নাধীন মেঘা প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কক্সবাজারবাসীর স্বপ্নের রেল লাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, মেডিকেল কলেজ, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম, বিকেএসপি, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, শেখ হাসিনা নৌ ঘাটি, হাই-টেক পার্ক, জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ প্রায় ৪০টি বড় ধরনের উন্নয়ন মেঘা প্রকল্পের সুফল দ্রুত কক্সবাজারবাসীসহ দেশবাসী ভোগ করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এ এগিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের পছন্দ নয়। তাই তারা দেশের এগিয়ে যাওয়া এবং উন্নয়নের গতি ব্যহত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অরাজগতা সৃষ্টি করে দেশের শান্ত পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নেওয়া ও উন্নত সমৃদ্ধির অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং শান্তি সমৃদ্ধির বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে আগামীকাল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জনসভাকে জনসমূদ্রে পরিণত করা হবে।
তাঁরা আরো বলেন, এত উন্নয়নের পরেও কক্সবাজারবাসী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আরো কিছু প্রত্যাশা করেন। এরমধ্যে কক্সবাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সাথে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাকঁখালী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া-মগনামার মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষনা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহসড়ক, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণ, যুগ যুগ ধরে ঝিনুক ব্যবসার সাথে উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন ও স্থায়ী আধুনিক ঝিনুক মার্কেট নির্মাণ ইত্যাদি
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, পর্যটন কেন্দ্রীক কক্সবাজােরের সম্ভাবনা অনেক বেশি। সেন্টমার্টিন হচ্ছে মালদ্বীপের মত একটা দ্বীপ। সেন্টমার্টিনকেও সেভাবে গড়ে তোলা যেতে পারে। পর্যটন শহরের দূষিত পানি যাচ্ছে বাকঁখালী অথবা সাগরে। এই বর্জ ব্যবস্থাপনার জন্য সেন্ট্রাল এসটিপি দরকার। চট্টগ্রামেও এসটিপি হচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বডুয়া বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন কক্সবাজারে। বিএনপি তাদের সময়ে সারাদেশের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিল ৬৯ হাজার কোটি টাকা। তার কয়গুণ বেশি টাকা আওয়ামী লীগ শুধু কক্সবাজারে খরচ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব সাখাওয়াত মুন, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব জাহিদ ইমরান তুষার, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি জাফর আলম, এমপি আশেকুল্লাহ রফিক, সাবেক এমপি এথিন রাখাইন, আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দিন সিআইপি, সাবেক কউক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল ফোরকান আহমদ, রেজাউল করিম, রঞ্জিত দাশ, মেয়র মকসুদুল হক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, পিপি ফরিদুল আলম, আব্দুল খালেক ও আবুল মঞ্জুরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ