নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : লড়াকু সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রেখেছেন ম্যাচে। টেস্ট গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। আর আসাদ শফিক উঠে গেছেন সবার ওপরে! ছয় নম্বরে নেমে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এখন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের। গতকাল ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টের চতুর্থ দিনে অপরাজিত ১০০ রান করেছেন শফিক। সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন দিনের শেষ ওভারে। ৫১ টেস্টে এটি তার দশম সেঞ্চুরি। একটি সেঞ্চুরি করেছেন চার নম্বরে ব্যাট করে। বাকি সবকটিই ছয় নম্বরে! ছয়ে নেমে নবম সেঞ্চুরিতে একার করে নিয়েছেন রেকর্ড। এতদিন যে রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন স্যার গ্যারি সোবার্সের সঙ্গে। ছয়ে নেমে ৮টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার বলে বিবেচিত সোবার্স। সোবার্স ৮ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৫৭ ইনিংসে। তাকে ছাড়িয়ে যেতে শফিকের লাগল ৬৬ ইনিংস।
ছয়ে নেমে ৭টি করে সেঞ্চুরি করেছেন চারজন, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনা রায়, চন্দরপল, শ্রীলঙ্কার হাশান তিলকরতেœ ও ইংল্যান্ডের টনি গ্রেগ। পাকিস্তানের হয়ে ছয়ে নেমে সেঞ্চুরির আগের রেকর্ড ছিল আসিফ ইকবালের ছয় সেঞ্চুরি। সেই ছয়টির তিনটিই আবার আসিফ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে! পাকিস্তানের হয়ে ছয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি শফিকের আগে করতে পেরেছিলেন কেবল তিনিই। সেঞ্চুরির মতো ছয় নম্বরে নেমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডের দিকেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন শফিক। এই টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ তার রান ২ হাজার ৭১৬। এই পজিশনে ৩ হাজার ছোঁয়া একমাত্র ব্যাটসম্যান স্টিভ ওয়াহ (৩ হাজার ১৬৫)।
প্রথমে আমিরকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৯২ রান যোগ করলেন শফিক। তাতে বেশিরভাগ অবদান মোহাম্মদ আমিরেরই। ৪৮ রান জোগান দিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি থেকে ২ রান দূরে থাকতে আমির ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর রিয়াজ-আসাদ জুটিতে আরও ৬৬ রান। দিনের শেষ ওভারে রিয়াজ বার্ডের শিকার হলেন। ইয়াসির শাহ নেমেই প্রথম বলে চার মেরে নিজের লক্ষ্যটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আসাদ খেলতে পারলে, কে জানে, ১০৮ রানের দূরত্ব কমিয়ে ফেলতে পারে পাকিস্তান।
সারা দিনে ৫৫০ মিনিট খেলে, ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান তোলা পাকিস্তান অবশেষে বুঝিয়ে দিল, প্রথম ইনিংসের পাকিস্তান তারা আসলে নয়। ক্ষীণ হলেও টেস্ট জয়ের আশা এখনো আছে। সেই আশার তীরে ভিড়তে পারলে পাকিস্তান পেয়ে যাবে টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় জয়!
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪২৯ ও ২০২/৫ ডিক্লে.
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৪২ ও ১২৩ ওভারে ৩৮২/২ (সামি ১৫, আজহার ৭১, বাবর ১৪, ইউনুস ৬৫, মিসবাহ ৫, শফিক ১০০*, সরফরাজ ২৪, আমির ৪৮, ওয়াহাব ৩০, ইয়াসির ৪*; স্টার্ক ৩/৯৭, বার্ড ৩/৯৪, লায়ান ২/১০০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।