গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট সাধারণ বর্জ্য থেকে চিকিৎসা বর্জ্যকে আলাদা করে সিটি করপোরেশন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান ও মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা জানান তিনি।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, চিকিৎসা বর্জ্য ধ্বংসে আমাদের প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে- এখন পর্যন্ত হাসপাতালগুলো যথা নিয়মে সাধারণ বর্জ্য থেকে চিকিৎসা বর্জ্যকে পৃথকীকরণ করছে না। এটা স্ব স্ব হাসপাতাল, ক্লিনিককে পৃথক করতে হবে। কিন্তু তারা সাধারণ বর্জের সাথেই চিকিৎসা বর্জ্য মিলিয়ে এগুলোকে ফেলে দিচ্ছি বা দিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইনস্টিটিউটসহ চিকিৎসার কাজে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকেই সাধারণ বর্জ্য হতে চিকিৎসা বর্জ্যকে পৃথকীকরণের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, যে সকল প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহের জন্য আমরা নিবন্ধন দেবো, তাদের কাছে এটা হস্তান্তর করতে হবে। তারা সরাসরি আমাদের মাতুয়াইল ভাগাড়ে ইনসিনারেশন প্লান্টে নিয়ে আসলে আমরা পরিপূর্ণভাবেই চিকিৎসা বর্জ্য থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।
মেয়র তাপস বলেন, চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ ও ধ্বংস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে একটি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। ২০০৬ সালে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সাথে এ নিয়ে একটি চুক্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই চুক্তির মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়নি। আমরা কিন্তু আমাদের কেন্দ্রীয় মাতুয়াইল ভাগাড়ে জায়গা দিয়েছি। সেখানে একটি ইনসিনারেশন, অটোক্লেভ করা হয়েছে। যাতে করে চিকিৎসা বর্জ্যগুলো আলাদা আলাদাভাবে নেয়া যায় এবং যেসব বর্জ্য ধ্বংসযোগ্য বা ধ্বংস করা অত্যাবশ্যক সেগুলোকে ধ্বংস করা যায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও করা হয়। সেই নীতিমালা অবলম্বন করে আমরা এখন প্রত্যেকটি অঞ্চলে আলাদা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করছি। যারা নীতিমালার আলোকে সকল কিছু পরিপালন করে সুষ্ঠুভাবে এগুলো সংরক্ষণ করবে এবং আমাদের মাতুইল ভাগাড়ে নিয়ে সেগুলো ধ্বংস করবে।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আজকে আমরা এখানে একটি কবরস্থান ও মসজিদের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলাম। এই কবরস্থানের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল অবস্থায় ছিল। জমি নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। আমরা পুরোটা দখলমুক্ত করেছি। পরিপূর্ণ জায়গা নিয়ে আমরা একটি সুন্দর কবরস্থান করছি। তার সাথে সাথে কবরস্থানের জন্য সার্বিক যে বিষয়গুলো থাকে একটি মসজিদ, একটি গোসলখানা নির্মাণ, জানাজা যাতে পড়াতে পারে সেজন্য সকল অবকাঠামো নিয়ে অত্র এলাকার জনগণসহ ঢাকাবাসীর জন্য আমরা আরেকটি নতুন কবরস্থান এবং তার সাথে আনুষঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নের শুভ সূচনা আমরা করতে পারছি। এখানে ৩৪'শ কবর দেয়া যাবে। সুতরাং ঢাকাবাসীর কবরের জন্য যে চাহিদা রয়েছে, অত্র এলাকায় সেই চাহিদা মেটাতে পারবো বলে আমরা মনে করি।a
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।