গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি সারাবিশ্বে নজির সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ডিএসসিসি এলাকায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবহিতকরণ ও মতবিনিময় কর্মশালায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।
মেয়র তাপস বলেন, এই কার্মসূচি একটি অত্যন্ত গর্বিত কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিন সকল শিক্ষার্থীর কাছে পুস্তক পৌঁছে দিচ্ছেন, যা সারা বিশ্বে গর্বিত নজির সৃষ্টি করেছে। এই স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিও সারা বিশ্বে কাছে এ রকম গর্বিত নজির সৃষ্টি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমার জানামতে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য ছাড়া এই কর্মসূচি সারা বিশ্বে আর কোনও দেশে নেই। ইউকে-তে ইউনাইটেড ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে যে কোনও বয়সের মানুষ এই স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরম্ভ করে উন্নত বিশ্বের কোথাও সর্বজনীনভাবে সকল জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়না। সেটা সারা বিশ্বে নজিরবিহীন। বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নজির সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শেখ হাসিনা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস কারার কারণে সরকারি হাসপাতাল হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল হোক তাদের সেই আর্থিক স্বচ্ছলতা নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার মতো কোনও সক্ষমতা নেই। সেই অক্ষম, দুর্বল জনগোষ্ঠী যাতে করে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পায় সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি চালুর লক্ষ্যে আপনারা আড়াই লাখ লোকের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। আপনারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হয়তো এই তালিকা প্রণয়ন করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি, প্রস্তুতকৃত তালিকা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য অনুযায়ী করা হয়নি। সেজন্য প্রকৃত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের
কাউন্সিলরদের এই কাজে সম্পৃক্ত করুন।
মেয়র বলেন, কাজ আপনাদের লোকই করবে কিন্তু কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করলে যথাযথ লোককে আমরা তালিকাভূক্ত করতে পারব। এছাড়াও জাতীয় গণশুমারির তথ্য থেকে প্রকৃত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য নিন। তাহলেই কেবল কর্মসূচি প্রকৃত উদ্দেশ্য যথাযথভাবে সফল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।