বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলার দৌলতখানে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ নোমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২৭নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রবিবার সকালের দিকে নোমানের মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নোমানের স্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতখান পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পাতার খাল মাছঘাট এলাকায় নদীর পাড়ে নোমানসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাস খেলছিল। এসময় দৌলতখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ধাওয়া করলে নোমানসহ আরও দুই ব্যক্তি নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে ফারুক ও রুবেল ডাঙায় উঠতে পারলেও নোমান নদীতে তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে যাওয়ার পর নোমান সাঁতরে কূলে উঠতে চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকলে সে কূলে উঠতে পারেনি। পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। পরে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার( এসপি) সাইফুল ইসলামের নির্দেশে কনস্টেবল সজিব ও রাসেলকে বরখাস্ত করা হয়। পরদিন শুক্রবার দৌলতখান থানার এসআই স্বরুপ কান্তি পাল ও এ এস আই সোহেল রানাকে থানা থেকে সরিয়ে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( লালমোহন সার্কেল) জহিরুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।