মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছে জাপান। প্রশংসায় ভাসছেন জাপানের খেলোয়াড়রা। তবে বিশ্বের প্রশংসা কুড়াতে নিজেদের খেলোয়াড়দের থেকে কোনো দিকেই পিছিয়ে নেই জাপানি সমর্থকরা। খেলা শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের সকল ময়লা পরিস্কার করে বিশ্বের নজর কেড়েছেন তারা।
যদিও জাপানি সমর্থকদের এই আচরণ এবারই প্রথম নয়। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়েও তাদের আবর্জনা পরিস্কারের ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছিল। সেই ধারায় এবার বিশ্বকাপের প্রথম থেকেই জাপানিরা স্টেডিয়াম পরিস্কার করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। বুধবারও জার্মানির বিরুদ্ধে খেলার দিন একই দৃশ্য দেখা গেলো। জাপানি সমর্থকরা অবিশ্বাস্য এক জয় উৎযাপনের পরও স্টেডিয়াম পরিস্কার করে যেতে ভুলেননি। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তারা ছেড়েছেন সকল আবর্জনা সঙ্গে করেই।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, সকল দর্শক যখন স্টেডিয়াম ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন জাপানিরা নীল রঙের রাবিশ ব্যাগ বের করে ময়লা কুড়াতে শুরু করেন। অনেককেই দেখা যায় জাপানিদের এমন আচরণ অবাক হয়ে দেখছেন।
যদিও বহুদিন ধরেই তাদের এই সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে পরিচিত। এক জাপানি ভক্ত বলেন, আপনাদের কাছে যেটা এত দারুণ সেটা আমাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক বিষয়। মানুষ কেনো এটাকে এভাবে দেখছে তা নিয়ে অবাক হচ্ছেন এই জাপানিরা। একজন বলেন, যখন আমরা টয়লেট ব্যবহার করি তখন আমরা নিজেরাই সেটা পরিস্কার করে আসি। যখন আমরা একটা রুম থেকে বের হই, আমরা সেটিকে গুছিয়ে বের হই। এটাইতো নিয়ম! পরিস্কার করা ছাড়া কোথাও বাস করা যায় না। এটাই আমাদের শিক্ষা।
এই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ছিল কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যে। সেই ম্যাচ শেষেও দেখা গেছে, জাপানি সমর্থকেরা আবর্জনা পরিস্কার করছে। অথচ সেদিন জাপানের খেলাও ছিল না। যারা জাপানি নন, তাদের কাছে এই দৃশ্য বেশ অস্বাভাবিক লেগেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন অসংখ্য পোস্টে জাপানিদের এমন কর্মকা- এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
সায়সুকা নামের আরেক জাপানি ভক্ত জানান, আমরা মোটেও দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমনটা করি না। এটি আমাদের ঐতিহ্য, জাপানে পরিস্কার থাকা হচ্ছে ধর্মের মতো। আমরা শুধু তার চর্চা করে যাই। তাকসি নামের এক জাপানি ভক্ত যিনি আমেরিকায় বাস করেন, তিনি জানান- ছোট থেকেই এই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষা দেয়া হয় জাপানে। আমাদেরকে সবসময় আমাদের রুম, বাথরুম এবং ক্লাসরুম পরিস্কার রাখতে বলা হয়। এটাই আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।