Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সংঘাত এড়িয়ে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই বিএনপি গণসমাবেশ করবে: গয়েশ্বর

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১:৩১ পিএম

সংঘাত এড়িয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি গণসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ঢাকা জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে সাথে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপকি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নতুন কমিটির সহসভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম বিল্টু, যুগ্ম মহাসচিব শামছুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ।
১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ কোথায় হবে-এমন প্রশ্নে জবাবে সংবাদিকদের গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমানে আমরা অনুমতি চেয়েছি। সেখানেই আমরা সমাবেশ করব। তারা (সরকার) যদি অপারগ হয় তাহলেও করব। অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব। অনুমতির অপেক্ষা করব না। মনে রাখতে হবে এ দেশটা আমাদের সবার।
আওয়ামী লীগ বলছে, প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তারা পাহারা দেবে, সেক্ষেত্রে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সাতটি গণসমাবেশ করেছি। আওয়ামী লীগ বলবে কেন, সব জায়গায় তারা সংঘাত সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে, গাড়ী ঘোড়া বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করেছে তারা তো কোনো পথই বাকি রাখেনি। নতুন কোনো পথ খোলাও রাখেনি। সুতরাং ঢাকার গণসমাবেশে-এটা করবে আমরা স্বাভাবিক মনে করছি, অস্বাভাবিক মনে করছি না। রাতারাতি এরা ভালো হয়ে যাবে তা আমরা আশাও করিনা। কিন্তু আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেব না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে-ই গণসমাবেশে আসব।
ঢাকার গণসমাবেশ থেকে সরকারের পতনের কোনো ঘোষণা দিতে চায় কিনা জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখনও ১০ ডিসেম্বর অনেক দূর। আপনারা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে আসবেন। ১০ ডিসেম্বরের কথা, ১০ ডিসেম্বরই বলব। আগাম কোনো কথা কেউ বলবে না, আমিও বলব না। আমরা ১০ ডিসেম্বর অবশ্যই পরবর্তী কর্মসূচি দেব। সেদিনই তো বলব না আমাদের আন্দোলন এখানেই শেষ। আর সরকার ১০ ডিসেম্বরের আগে যদি সরকার জনগণের দাবি মেনে নেয় সেটা তো অন্যরকম। কিন্তু তা তো আমরা প্রত্যাশা করতে পারছি না। আমরা গণসমাবেশ থেকে কী বলব, ১০ ডিসেম্বর শোনার অপেক্ষায় থাকেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন, ভোটাধিকার ও আইনের শাসনের বিশ্বাস করতেন। আমরা দেখছি , দেশে এসব কিছুই নেই। বিচারের নামে আমরা অবিচারের মুখোমুখী হচ্ছি। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই। চলমান আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে যেভাবে সাধারণ জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছে, জনগণের আরো অংশগ্রহণে ভোটাধিকার অর্থাৎ জনগণই দেশের মালিক- এটা প্রতিষ্ঠাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ