বগুড়ায় ২৪ বছর পর নৈশপহরী ও কৃষক হত্যা সংক্রান্ত পৃথক দুইটি মামলায় ৭জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুর এ রায়গুলো ঘোষণা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানাযায়, প্রায় ২৪ বছর আগে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের বিল হামলা এলাকার একটি চাতালে ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ওই চাতালে থাকা যন্ত্রপাতি লুটপাট করতে এ ঘটনা সংগঠিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ওই ঘটনায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ ঘটনায় দীর্ঘ ২৪ বছর পর ছয়জনকে যাবজ্জীন ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত । বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মালায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, আফজাল হোসেন তার ভাই জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল আলম, গোলজার রহমান, আছমা বেগম ও আলম ফকির। এরমধ্যে আছমা বেগম ও আলম ফকির পলাতক আছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর মামলায় কাহালুর লক্ষীমণ্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট স্থানীয় পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামের এক কৃষককে মারপিটের পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন৷ এরমধ্যে মামলা চলাকালীন সময়ে দু'জন মারা যান।
দীর্ঘ ২৪ বছর পর এ মামলায় তসলিম উদ্দিন (৭০)কে যাবজ্জীন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত। অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে আনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এছাড়াও মামলার অন্য ১৫ আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর ১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান রায় ঘোষণা করেন৷
দণ্ড প্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন কাহালুর লক্ষীমণ্ডপের মৃত তোরাব আলীর ছেলে।
বগুড়া আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার বিশু জানান, দুইটি পৃথম মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দীর্ঘ ২৪ বছর পর হত্যাকাণ্ড দুইটির বিচার কার্য সম্পূর্ণ হয়েছে।