মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোন পথে এগোচ্ছে ভারত? প্রায় দিনই নৃশংস, অমানবিক সমস্ত ঘটনায় আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক শিউরে ওঠার মতো খবর। যুগলের মনস্কামনা পূরণের জন্য তাদের অদ্ভুত উপায় বাতলে দেয় এক তান্ত্রিক। বলে, তার সামনেই যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে দু’জনকে। এবং সঙ্গমের সময়ই তাদের উপর আঠা ঢেলে দিল ওই তান্ত্রিক। তারপরই মৃত্যু হয় যুগলের। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও।
এমনই অপ্রকৃতিস্থ ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুরে। গত ১৮ নভেম্বর জঙ্গলের ভিতর থেকে যুগলের নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, হয়তো প্রেম ঘটিত কারণে পরিবারের হাতে খুন হয়েছেন ওই পুরুষ ও মহিলা। কিন্তু তদন্তে নেমে রীতিমতো হকচকিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করা হয় ৫৫ বছরের অভিযুক্ত তান্ত্রিককে। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় সে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি বছর তিরিশের রাহুল মীনা। পেশায় তিনি ছিলেন শিক্ষক। মৃত যুবতীর নাম সোনু কুনওয়ার। বয়স ২৮ বছর। পুলিশ জানতে পারে, দু’জনেরই আলাদা-আলাদা জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের পরিবারের ভালেশ কুমার নামের ওই তান্ত্রিকের উপর বিশেষ আস্থা ছিল। ইচ্ছাপূরণ শেষনাগ ভাবজি মন্দিরে গিয়ে ওই তান্ত্রিকের সঙ্গে দেখাও করতেন তারা। সেখানেই পরিচয় রাহুল ও সোনু। অল্পদিনেই তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর তারপর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় রাহুলের। সোনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা রাহুলের স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় খোদ তান্ত্রিক। আর তাতেই মেজাজ হারান রাহুল ও সোনু। তান্ত্রিককে হুমকি দেন তারা। এরপরই নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে খুনের ছক কষে ওই তান্ত্রিক।
গত ১৫ নভেম্বর জঙ্গলে ডেকে পাঠায় রাহুল ও সোনুকে। ৫০টি ফেভিকুইকের টিউব থেকে আঠা একটি বোতলে ঢেলে সঙ্গে করে নিয়ে যায় সে। এরপর যুগলকে বলে, তার সামনে সঙ্গমে লিপ্ত হলে সব সমস্যা মিটে যাবে। তান্ত্রিকের পরামর্শে তেমনটাই করেন রাহুল ও সোনু। আর ঠিক সেই সময়ই তাদের উপর আঠা ঢেলে দেয় ভালেশ। সে ভাবে, আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দেহ উদ্ধার হয়ে সে সন্দেহের বাইরে থাকবে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে তান্ত্রিকের হদিশ পায় পুলিশ। জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে সে। জানা গিয়েছে, একে অপরকে ছাড়াতে গিয়ে শরীর থেকে যৌনাঙ্গ আলাদা হয়ে যায় রাহুলের। সোনুর গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়। তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।