পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে সর্বত্র গণজাগরণ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। গতকাল রোববার নগরীর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নেতারা এ আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রায় এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় উপস্থিত হবেন। তাই এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য উৎসবের। জনসভার প্রস্তুতি নিতে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে থানায় গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি অপশক্তির দুর্বৃত্ত দল মাঠে নেমেছে। তারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে কার্যকর ও সংগঠিত শাখা। দলের সকল ক্রান্তিকালে এই মহানগরীর নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল। আবারও প্রমাণ করার সময় এসেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। তাই ৪ ডিসেম্বর উৎসব মুখরিত পরিবেশে শুধু পলোগ্রাউন্ড ময়দান নয়, সারা চট্টগ্রাম নগরীকে জনসমুদ্রের জনতরঙ্গে উদ্বেলিত করে তুলতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার জনসভা আমাদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রমাণ করবো ওইদিন চট্টগ্রামের জনতার ঢল মহাপ্লাবণের মতো জেগে উঠবে। চট্টগ্রামে ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। তাই এখানে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করা কোন ব্যাপার নয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করে দেবেন। এ ধরণের একের পর এক উন্নয়নের ফলক তিনি চট্টগ্রামে স্থাপন করে গেছেন এবং আগামীতেও করে যাবেন। অথচ অসৎ উদ্দেশ্যে আজকে যারা সরকার পতনের ডাক দিয়েছেন তারা এসব দেখেও দেখেন না। কারণ তাদের মগজের ঘাটতি রয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় নগরীর ৪১টি প্রশাসনিক ওয়ার্ড ও ৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কগণ ৪ ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করার কি কি কার্যক্রম চলমান রেখেছেন তা অবহিত করেন এবং জনসভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে সাথে নিয়ে উপস্থিত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, সফর আলী, এনামুল হক চৌধুরী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমাল আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।