Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লার কংশনগরে ব্যবসায়ির ওপর হামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : ব্যবসায়ির ওপর হামলার প্রথম ঘটনার পরদিন থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। আর মামলা না হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত হামলাকারিদের একজন সেনা সদস্য নাজির আহমেদ উল্লাস ও হৈ-হুল্লুড় শুরু করলে কতিপয় লোক তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় গ্রামের ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। আদালতে হাজির হয়ে ৮ আসামি জামিন লাভ করে। ৩ জন বর্তমানে জেলহাজতে। বাকি ২ জন পুলিশের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদিকে ব্যবসায়ি মাইন উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা করতে না পেরে অভিযোগকারি তাহমিনা আক্তার আদালতে ১২জনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী হলে বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। থানায় মামলা নথিভুক্ত হলেও আসামিরা একমাস ধরে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। ঘটনা দুইটি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামে গত নভেম্বর মাসে ঘটেছে। ওই সময়ে এ বিষয়ে দেনিক ইনকিলাব পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের কংশনগর গ্রামের সফিকুল ইসলাম ও খোকন মিয়া গংদের মধ্যে জায়গা-জমি সংক্রান্ত প্রায় ১০/১২টি মামলা কুমিল্লার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এনিয়ে সামাজিক বিচার, সালিশ হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু সামাজিক সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ সফিকুলসহ তার ছোট ভাই নাজির আহমেদ। সে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে নিজের চাকরির প্রভাব তুলে ধরতেন জায়গা-জমি সংক্রান্ত ঘটনায়। নিজের পেশাগত প্রভাব দেখায় গ্রামে। এমনটি জানা গেছে গ্রামের সর্দার মাতব্বরসহ বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে। এলাকার লোকজন জানান, সেনা সদস্য নাজির ও তার ভাই সফিকুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে পিআর নং-৮০৩/১৩ মামলা চলমান রয়েছে। এদিকে অক্টোবরের শেষের দিকে নাজির আহমেদ ছুটিতে বাড়িতে এসে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবেশ উতপ্ত করে তোলে। গত ১ নভেম্বর বিকেলে কংশনগর বাজারে সেনা সদস্য নাজির আহমেদ ও তার ভাই সফিকুলসহ কয়েকজন একই গ্রামের ব্যবসায়ি আবু মুছার দোকানে গিয়ে তাকে ও তার ভাই মাইন উদ্দিনকে মামলা মোকদ্দমাসহ কোনো কাজে খোকন মিয়াকে সহযোগিতা না করতে শাসায়। এনিয়ে আবু মুছা ও মাইন উদ্দিনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে সেনা সদস্য নাজির। একপর্যায়ে নাজির তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাইন উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে। আর অন্যরা দোকান ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় বুড়িচং থানা পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ৬ নভেম্বর সেনা সদস্য নাজির আহমেদসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে অভিযোগ করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক আজিজ অভিযোগটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য বুড়িচং থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ