মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রীর হয়ে আদালতে মামলা লড়েছিলেন তিনি। ভালোবাসেন বাইক চালাতে। সাংবাদিকতা রয়েছে তার রক্তে। এমন বছর ৫৪-র লাস্যময়ী নাতাশা পির্ক মুসেরকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিল স্লোভানিয়া। সতন্ত্র হিসাবে ভোটে লড়ে বাজিমাৎ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, স্লোভানিয়ার ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পেতে চলেছেন। সেদেশের নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৫৩.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন নাতাশা। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দেজ লজারের ঝুলিতে গিয়েছে ৪৬.১৪ শতাংশ ভোট। আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। নির্বাচনে জয়ের পর নাতাশা বলেন, “সত্যিকারের আপামর স্লোভানিয়াবাসীর প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার জন্য আমার সবটুকু দিয়ে করব।” গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রেও লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
২০১৬-য় প্রথমবার খবরের শিরোনামে আসেন সোনালি চুল আর নীল চোখের নাতাশা। ওই বছর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়ার হয়ে মামলা লড়তে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। মার্কিন পত্রিকা ‘সুজি’-র বিরুদ্ধে মেলানিয়ার হয়ে মামলা লড়েন তিনি। ওই পত্রিকার তরফে ট্রাম্প পত্নী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছিল। সেই মামলায় জিতেছিলেন নাতাশা। এরপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
আদালতে মামলা লড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতার কাজও করতেন নাতাশা। কাজের সূত্রের রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়তে শুরু করে তার। এরপরই একটা সময় একটা সক্রিয় রাজনীতি করতে শুরু করেন তিনি। তবে কোনও দল তৈরি করে ভোটের ময়দানে নামেননি নাতাশা। গত মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হলে সেখানে সতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন তিনি। আর প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমেই বাজিমাৎ করেন নাতাশা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্লোভানিয়ার এই আইনজীবী-সাংবাদিক।
ভোটের জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন তিনি। ‘আগে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষের মধ্যে খুব একটা সচেতনতা ছিল না। এখন কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবছে। এবং তারা বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে,’ জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন নাতাশা।
এক কালের যুগোস্লাভিয়ার অন্তর্গত এই দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া যে খুব সহজ ছিল, এমনটা কিন্তু নয়। স্বামীকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তার স্বামীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেয়া এবং বেআইনি ভাবে অর্থ মজুত করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন নাতাশাই। সূত্র: দ্য উইক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।