মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৮২ জনের মতো মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মিনেসোটা অ্যাটর্নি জেনারেল কিথ এলিসন, ইলহান ওমর, রাশিদা তালিব এবং আন্দ্রে কারসনসহ ২১ জন মুসলিম পুনঃনির্বাচিত হলেও, ১৬ জন নতুন মুসলিম তাদের সাথে যোগ দিয়ে দেশব্যাপী মুসলিম রাজ্যের আইন প্রণেতাদের সংখ্যা ৪৩-এ পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী নাবিলা সৈয়দ সবচেয়ে কম বয়সী ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা।
সৈয়দের প্রচার ওয়েবসাইট বলে যে, তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন, আর তিনি স্থানীয় ব্যবসা এবং অলাভজনকদের সহায়তাকারী একটি প্রো-বোনো পরামর্শ সংস্থার সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন।
নির্বাচনে জয়ের পর নাবিল সৈয়দ লিখেছেন, ‘আমার নাম নাবিলা সৈয়দ। আমি একজন ২৩ বছর বয়সী মুসলিম, ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা। আমরা সবেমাত্র রিপাবলিকান অধ্যুষিত শহরতলির জেলাকে উল্টিয়েছি এবং জানুয়ারিতে আমি ইলিনয় সাধারণ পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হব’।
ডেমোক্র্যাট মানা আবদি, ডেকা ধলাক এবং আম্বুরিন রানা মেইন রাজ্যের আইনসভায় নির্বাচিত হয়েছেন, ওহাইও ডেমোক্র্যাট মুনিরা আবদুল্লাহি এবং ইসমাইল মোহাম্মদ রাজ্য আইনসভায় দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। টেক্সাসে সালমান ভোজানি এবং সুলাইমান লালানি রাজ্য আইনসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। রুওয়া রোমান, ফারুক মুঘল এবং শেখ রহমান জর্জিয়ার রাজ্য ভবনে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফলের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলিম আইনপ্রণেতার রাজ্য হয়েছে জর্জিয়া। মিনেসোটা রাজ্য হাউসে সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিম নির্বাচিত হয়েছেন, জয়নাব মোহাম্মদ রাজ্যের সিনেটে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম মহিলা।
এদিকে সিনেটে ৪৯ আসনে জিতে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান দল। ডেমোক্রেটরা এখন পর্যন্ত আসন নিশ্চিত করতে পেরেছে ৪৮টি। এখনও যে তিনটি রাজ্যে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যায়নি সেগুলো হলো নেভাডা, অ্যারিজোনা এবং জর্জিয়া। এরমধ্যে অ্যারিজোনাতে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী মার্ক কেলি। অপরদিকে নেভাডায় এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী অ্যাডাম ল্যাক্সাল্ট। রিপাবলিকানদের সিনেটের দখল নিতে প্রয়োজন ৫১ আসন। অর্থাৎ নেভাডার পাশাপাশি তাদেরকে জিততে হবে আরও একটি আসনে। একই অবস্থা ডেমোক্রেট দলেরও। ডেমোক্রেটদের এক আসন কম হলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘কাস্টিং ভোট’ এর কারণে একটি অতিরিক্ত আসন পাবে দলটি। ফলে তাদেরও অ্যারিজোনার পাশাপাশি আরও একটি আসনে জয় প্রয়োজন। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এখন জর্জিয়াতেই সকল হিসেবের সমাধান হতে যাচ্ছে। কিন্তু জর্জিয়াতে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট কোনো দলের প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী জয় পেতে একজন প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। কিন্তু জর্জিয়ায় ডেমোক্রেটিক প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক ও রিপাবলিকান হার্শেল ওয়ালকারের কেউই এই শর্ত পূরণ করতে পারেননি। ফলে জর্জিয়ায় ভোট গড়িয়েছে রান-অফ বা দ্বিতীয় দফায়। আর দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। এর আগে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে তা নির্ধারণ করা অনেকটা অসম্ভব এখন। যদি জর্জিয়া ছাড়া অন্য দুই রাজ্যের দুটিই কোনো দল জিতে নিতে পারে তাহলে অবশ্য এখনই জানা যাবে সিনেট কার হতে যাচ্ছে। কিন্তু ওই দুই রাজ্যের একটিতে ডেমোক্রেটদের জয় অনেকটা নিশ্চিত এবং আরেকটিতে রিপাবলিকানদের জয়ও প্রায় নিশ্চিত। সিবিএস জানিয়েছে, এরইমধ্যে রান অফের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জর্জিয়া। জর্জিয়ার স্টেট সেক্রেটারি ব্র্যাড রাফেনস্পারগার বুধবার বিকেলে ঘোষণা করেছেন যে, ব্যালট তৈরি করা শুরু হয়ে গেছে এবং কাউন্টিগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে। জর্জিয়াতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দল ছাড়াও তৃতীয় আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তিনি ২ শতাংশেরও ভোট পাওয়ায় প্রধান দুই দলের কোনো দলই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এখন ৬ই ডিসেম্বর শুধু প্রধান দুই দলের প্রার্থীদের নির্বাচনে ভোট হবে। এ নিয়ে টুইটারে ওয়ারনক লিখেছেন, আমরা রান অফে যাচ্ছি, জর্জিয়া। চলুন আরেকবার ভোট দেই। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।