Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয়পুরহাটে এনামুল হক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২২, ১:৩৯ পিএম

জয়পুরহাটে এনামুল হক হত্যা মামলার জেলা সদরের ফরিদপুর পাওয়ার টিলার চালক এনামুল হক (৪৭) হত্যা মামলায় ১৭ বছর পর পিতা- পুত্র সহসহ চারজনের যাবজ্জীবন ও তিন জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এক আসামির অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামের মৃত কুড়ানোর ছেলে রমজান আলী তার ছেলে রঞ্জু ও শাহীন এবং রেজাউল ইসলামের ছেলে হান্নান। এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, সোলায়মান আলীর ছেলে আলীম, মোস্তফার ছেলে শাহাদত ওরফে শাহাদুল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৫ ফ্রেব্রুয়ারি জয়পুরহাট সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে এনামুল হক (৩০) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে পার্শ্ববর্তী বজরপুর গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে পাওয়ার টিলার নিতে যায়। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পর এনামুল হকের বাড়িতে পরের দিন সকালে পাওয়ার টিলার পৌঁছে দিবে বলে তার ভগনিপতি আবু বকর ভাদসা বাজার পর্যন্ত এনামুল হককে এগিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। ওই রাতে আর এনামুল বাড়ি ফিরে নাই।

পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি এনামুলের বাড়ি হতে প্রায় ৭০০ গজ দূরে এক কৃষক ভোর বেলা মাঠে কাজ করতে গিয়ে দেখতে পান, চারজন লোক মাঠের মধ্যে কিছু ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। পরে ওই কৃষক সেখানে গিয়ে দেখতে পান এনামুল হকের মরদেহ পড়ে রয়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নুরুল ইসলাম আকন্দ কুড়ানোর ছেলে রমজান আলীর নাম বাদ দিয়ে ২০০৫ সালের ৪ মে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম।
এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি রঞ্জু পলাতক রয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তরুণ, হেনা কবির, ফরিদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাবজ্জীবন

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ