Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ!

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৩৭ পিএম

বর্তমান ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের শক্তিশালী দেশের মতো বলে বিজেপি নেতৃত্ব যতই চিৎকার করুন না কেন, আসলে হাল যে বেহাল তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে নবদম্পতিদের আর্শীবাদ করতে গিয়ে মোদি যে পরামর্শ দেন তাতে দেশের অর্থনীতির বেআব্রু অবস্থা প্রকাশ হয়। তিনি নবদম্পতিদের পরামর্শ দেন, অযথা অর্থ অপচয় না করে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কেন্দ্র যখন দেশের অর্থনীতি নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে তখন মোদির এমন পরামর্শে কার্যতই অস্বস্তিতে বিজেপি।

এমন ইস্যুতে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরাও। আবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠলেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের শাসকদলের এজেন্সির মতো কাজ করছে। তাই কোনও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিরোধীদের।

নিজের রাজ্য গুজরাটে প্রচারে গিয়ে দেশের বেহাল অর্থনীতি প্রকাশ করে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার গুজরাটে প্রচার শেষে ভানভাগরের একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। এই অনুষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘পাপা নি পারি’। যেসব বিবাহযোগ্য কন্যার বাবা নেই এমন ৫৫১ জনের বিয়ে দেয়া হয় সেখানে। অনুষ্ঠানে নবদম্পতিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, এই ধরনের অনুষ্ঠানে অযথা টাকা খরচ না করে তা সন্তানদের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে হবে। তিনি বলেন, “আত্মীয়দের চাপে ও সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রচুর খরচ করেন নবদম্পতির পরিবার। লোক দেখানো অনুষ্ঠান করতে গিয়ে খরচের প্রতিযোগিতা করে।”

সেই সঙ্গে মোদির দাবি, এখন গুজরাটবাসী সচেতন হয়েছেন। তারা খরচের বহর কমাতে গণবিবাহে শামিল হচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের ভবিষতের কথা ভেবে অর্থের অপচয় বন্ধের পরামর্শ দিলেন। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কোনও শিশু জন্ম নিলে তার দায়ভার সরকারকে নিতে হয়। কিন্তু দেশের অর্থনীতির হাল বেহাল। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে তা অস্বীকার বকলমে সদ্যোজাতদের দায়ভার ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন বলে অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

আবার গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কে মোদি। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করা হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছে কমিশন। রবিবার হিমাচলের এক নির্দল প্রার্থীকে ফোন করেন ভোটের ময়দান থেকে সরে যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি ও নির্দল প্রার্থী কৃপাল পারমারের ফোনে কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ভোটের ময়দান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এরপরই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করে কংগ্রেস। দলের সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির অভিযোগ, দেশের অর্থনীতি ডুবছে। আর প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচারে বেড়িয়েছেন। বিদ্রোহীদের নিরস্ত করতে ব্যস্ত। এর থেকেই প্রমাণ হয়, মোদির কাছে দেশের থেকে দল আগে। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করলে কেন কমিশন ব্যবস্থা নেয় না। কমিশন কেন্দ্রের শাসকদলের এজেন্সির মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ