বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার গোবরচাকা এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধারকৃত বাক্সবন্দি দ্বিখন্ডিত লাশটি উদ্ধারের ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। উদ্ধারকৃত মরদেহটি গৃহবধূ স্বপ্না বেগমের নয়। অন্য কোনো নারীর। আজ রোববার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সোনালী সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন আবু বক্কার মোল্লা ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম। ঘটনার পর থেকে ওই দম্পত্তি পলাতক রয়েছেন। মরদেহটি কার তা জানার জন্য তদন্ত অব্যহত রয়েছে।
তিনি জানান, রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই নারীর মরদেহ নগরীর ১ নং গোবরচাকা ক্রস রোডের তেঁতুলতলা রাজু খাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার হওয়া ঘরের ভাড়াটিয়া আবু বক্কার মোল্লা কদমতলা স্টেশন রোড নিউ আল আকসা নামে একটি ট্রান্সপোর্টে কর্মরত ছিলেন। রোববার সকালে কর্মস্থলে না যাওয়ায় এবং তার ফোন বন্ধ থাকায় ট্রান্সপোর্ট থেকে তাকে খুঁজতে আসে কয়েকজন। ঘর তলাবদ্ধ থাকায় বাড়ির মালিক রাজুকে জানানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির মালিক স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে তিনি থানায় ফোন করে পুলিশ ডাকেন। এরপর পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে মস্তকবিহীন এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত নারীর মাথা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ও দেহটি খাটের ওপর ছিল। আবু বক্কারের স্ত্রী স্বপ্না বেগম স্থানীয় প্রিন্স হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রতিদিন রাত ৮টার দিকে তার কর্মস্থলে যান। শনিবার রাতেও একই সময়ে চলে যান। তবে রোববার সকালে তিনি বাসায় ফেরেননি। রাতে তিনিও স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। বাড়ির মালিক রাজু জানান, মৃত ওই নারীকে কখনও তিনি এ বাড়িতে দেখেননি। তিনি আবু বক্কার মোল্লার স্ত্রী নন। হত্যাকাণ্ডটি গভীর রাতেই হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। আবু বক্কারের স্ত্রী প্রিন্স হাসপাতালে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু আজ তিনি আসেননি। পুলিশ ও এলাকাবাসী মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমে ধারণা করেছিল এটি আবু বকরের স্ত্রীর হবে হয়তো। পরে যদিও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় বাড়ির মালিকের কথায়।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা কেডিএ এভিনিউ'র ১১৩ হোল্ডিংয়ে রাজু খাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতো আবু বক্কর ও তার স্ত্রী। স্বপ্না খাতুন বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ভাগা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের মেয়ে। একই গ্রামের জাকির মোল্লা ছেলে আবু বক্কার। আবু বক্কারের দুই থেকে আড়াই বছর ধরে এ বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।