Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সার্বভৌমত্বে আঘাত! চীন-পাকিস্তান করিডর নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৫৬ পিএম

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারত। বেইজিং ও ইসলামাবাদকে নয়াদিল্লির কড়া বার্তা, কোনওভাবেই আঞ্চলিক স্থিতাবস্থায় বদল মেনে নেয়া হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, সিপিইসি-র জন্য চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বড়সড় কূটনৈতিক সংঘাত তৈরি হতে চলেছে।

গত বুধবার, ভারতের আপত্তি উড়িয়ে ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’-এ দ্রুত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেয় চীন। সেদিন বেইজিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওই বৈঠকের অধিকাংশ জুড়ে সিপিইসি নিয়েই আলোচনা হয়। তারপর দুই রাষ্ট্রনেতার যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ পায় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ। আর এতেই চরম ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা হচ্ছে। এটা মেনে নেয়া হবে না। ওই প্রকল্পের একটি অংশ পাকিস্তানের দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এটা বেআইনি ও অবৈধ। এসব মেনে নেয়া হবে না।”

২০১৩ সালে পাকিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) প্রকল্প শুরু করে চীন। ওই প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি একটি সড়ক গিয়েছে আজাদ কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই ঘোর আপত্তি ভারতের। এমন পদক্ষেপ দেশের সর্বভৌমত্বে আঘাত বলেই স্পষ্ট বয়ান নয়াদিল্লির। এই প্রেক্ষাপটেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের সঙ্গে সিপিইসি নিয়ে ‘ইনডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট’ নামের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তান এবং তুরস্ককে এই প্রকল্পে শামিল করার জন্য চেষ্টা চলছে।

এদিকে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মঙ্গলবার ‘শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’ (এসসিও) গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই মর্মে আগাম স্বর চড়িয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেছিলেন, “যে কোনও পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির মনে রাখা উচিত, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বে যেন আঘাত না লাগে।” এই মন্তব্যের নিশানা যে বেইজিং ও ইসলামাবাদ তা স্পষ্ট। বলে রাখা ভাল, এসসিও গোষ্ঠীতে ভারতের সঙ্গে রয়েছে চীন ও পাকিস্তানও। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ