মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে দূষণের মাত্রা ছিল ৪০৮ একিউআই। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। গাড়ির ধোঁয়া এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে খড় পোড়ানোর জেরে দিল্লির বাতাস আরও বিষাক্ত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বাতাসে দূষণের পরিমাণ ছিল ৩৭৬ একিউআই। বৃহস্পতিবার সকালে তা পৌঁছে গেছে ৪০৮ একিউআইয়ে।
চিকিৎসক এবং পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, বাতাসের দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে সকালের দিকে। সে সময় বাড়ি থেকে বার না হওয়াই শ্রেয়। বস্তুত, শিশুদের সকালে স্কুলে যেতে হয় বলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন দিল্লির একাধিক চিকিৎসক।
এ কারণেই জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে স্কুল বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বায়ু দূষণের মাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হোক।
চিকিৎসক বিষ্ণু দে জানিয়েছেন, দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা এখন যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে সুস্থ মানুষেরও অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ গলা এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক এবং শিশুরা। বিষ্ণু জানিয়েছেন, সাধারণ ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। কারণ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বিষাক্ত বায়ু শরীরে ঢুকছে।
পরিবেশবিদ দীপায়ন দে জানিয়েছেন, ভোরের দিকে বাতাসে দূষণের স্তর অনেক নিচের দিকে থাকে। যে কারণে শহরজুড়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সে সময় বাইরে রের হওয়া সবচেয়ে খারাপ।
শিশু অধিকার কমিশনের বক্তব্যও তাই। তারা বলেছেন, শিশুদের ওই সময়েই স্কুলে যেতে হয়। ফলে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে অভিভাবকেরা শিশু অধিকার কমিশনের সঙ্গে সহমত নন। তাদের বক্তব্য, করোনার জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের তার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার দূষণের কারণে স্কুল বন্ধ হলে তারা আরও পিছিয়ে পড়বে। সরকারের দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়।
এর আগেও দূষণের জন্য দিল্লিতে স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। সরকার এবারও জানিয়েছে, অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বার না হওয়াই ভালো। সম্ভব হলে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অফিসগুলো সে পরামর্শ মানছে না বলেই দাবি পরিবেশবিদদের।
পরিবেশবিদদের বক্তব্য, বায়ুর গতি এখন যা, তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেও দিল্লির দূষণ কমার বিশেষ সম্ভাবনা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।