Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্যখাতের উপর চাপ কমাতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৭:০৪ পিএম

স্বাস্থ্যখাতের উপর চাপ কমাতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে এই খাতে বাজেটের উপর চাপ কমবে এবং হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানো সম্ভব হবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) অনুষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্য খাতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সেমিনারটি আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা করাটা সমাধান নয়। বরং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের জোর দিতে হবে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমাতে পারলেই আমরা সফলতা হিসেবে দাবি করতে পারবো।

বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থোপেডিক সোসাইটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। কিন্তু আমাদের দেশে এটি নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করে। অথচ স্থানীয় সকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের আওতায়ও সড়ক রয়েছে। ফলে সড়ককে নিরাপদ করতে হলে সকলকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে।

সেমিনারে স্বাস্থ্য খাতের ওপর সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের ওপর অতিরিক্ত রোগীর চাপ কমাতে হলে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ প্রণীত রোড সেফটি গাইডলাইন অনুসরণ করা জরুরি। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমাতে পোস্ট ক্র্যাশ ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারে আলোচকরা বলেন, রোড ক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। দেশে ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ রোড ক্র্যাশ। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, তার বড়ো একটি অংশ সময়মতো হাসপাতালে না নিতে পারার কারণে মৃত্যুবরণ করে। এই মৃত্যু প্রতিরোধে পোস্ট-ক্র্যাশ ম্যানেজমেন্ট বা দুর্ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করার বিষয়ে কাজ করতে হবে।

সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জরুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ