মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবেল নাইজেরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৬০০-এর বেশি জনের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার দেশটির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। টুইটারে নাইজেরিয়ার মানবিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যার কারণে দেশটির ১৩ লাখের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। মন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক বলেন, ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বন্যায় ৬০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়ছে, গতসপ্তাহে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০০। কিন্তু কিছু রাজ্যের সরকার বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত না থাকায় এই সংখ্যা বেড়েছে। উমর ফারুক আরও বলেন, বন্যায় পুরোপুরি ৮২ হাজারের বেশি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, এছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এনইএমএ) বলেছে, সাধারণত বর্ষাকাল জুন মাস থেকে শুরু হয় কিন্তু আগস্ট থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। অপর এক খবরে বলা হয়, বন্যায় রীতিমতো বিপর্যস্ত দশা দক্ষিণ পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার। দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল রাজ্য ভিক্টোরিয়ায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। আবার মেলবোর্নে ঘরছাড়া হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য ভিক্টোরিয়ার শাসক ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, সেখানকার ৫০০ বাড়ি বর্তমানে সম্পূর্ণ জলমগ্ন। কিছু কিছু বাড়ির ৮০ শতাংশ জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। গোটা দেশের সঙ্গে সেখানকার একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শিগগিরই পানি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানকার প্রায় ৪ হাজারের বেশি বাড়ি থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মেলবোর্নের বাসিন্দা বেট্রি রিট্রেভেস্কির কথায়, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হু হু করে পানি ঢুকতে শুরু করে। স্রোতের বেগ এত বেশি ছিল যে ওই সময় রাস্তায় যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এদিকে আগামী কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ পরিস্থিতি ভালো হওয়ার লক্ষণ খুব একটা নেই। এ অবস্থায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে শুরু করে যে সব জায়গায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।