জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা কমিটি বুধবার মসজিদ চত্বরে দুটি ভূগর্ভস্থ স্থান (তাহখানা) জরিপের জন্য হিন্দু পক্ষের দাবিতে আপত্তি জানিয়েছে।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবীরা তাদের পাল্টা আপত্তি দাখিলের জন্য সময় চেয়েছিলেন, যার পরে জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেশারের আদালত এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী তারিখ ১১ নভেম্বর ধার্য করেছেন।
জেলা সরকারের কৌঁসুলি মহেন্দ্র পান্ডে বলেন, হিন্দু পক্ষ জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসে বন্ধ সেলারের তালা খুলে সমীক্ষার দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার মসজিদ কমিটির আইনজীবীরা তাদের আপত্তি আদালতে উপস্থাপন করেন এবং অপরপক্ষ পাল্টা আপত্তি দাখিলের জন্য সময় চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এস এম ইয়াসিন বলেছেন, আপত্তিতে তাদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, বিদ্যমান মসজিদ কমপ্লেক্স এলাকায় কোনো পরিবর্তন করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, বন্ধ সেলারের তালা খুলে তাহখানার জরিপ করা সুপ্রিম কোর্টের আদেশের লঙ্ঘন হবে।
হিন্দু পক্ষের বাদী রাখি সিংয়ের আইনজীবী জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সে পাওয়া লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি রক্ষা চেয়ে আদালতে একটি আবেদন করেন।
এতে মসজিদ প্যানেলের আইনজীবীরা তাদের আপত্তি উপস্থাপনের জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন।
বুধবার শুনানির সময় বিচারক বিশ্বেশার বলেন যে, ভবিষ্যতে এ মামলায় কোনো পক্ষকে এক সপ্তাহের বেশি সময় দেওয়া হবে না।
তিনি মামলার সকল পক্ষকে বলেন যে, আদালত মামলাটিকে ‘বিলাসী মামলা’ হিসাবে চালানোর অনুমতি দেবে না।
তিনি আরো পর্যবেক্ষণ করেন যে, আদালতের সময় মূল্যবান যা প্রত্যেকের সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত।
১৭ মে হিন্দু পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন এবং দুটি বন্ধ আন্ডারগ্রাউন্ডের জায়গা জরিপের দাবি করেছিলেন। আদালত মুসলিম পক্ষকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে সময় দেয়।
গত ২১ অক্টোবর আদালতে সর্বশেষ শুনানি চলাকালে মসজিদ কমিটি আপত্তি উপস্থাপনের জন্য আরো সময় চেয়েছিল। আদালত তখন মসজিদ প্যানেলকে সময়মতো আপত্তি দাখিল না করার জন্য ১০০ টাকা জরিমানা করে। সূত্র : পিটিআই।