পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল নগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে উৎসবের আমেজ শেষ হয় ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে।
সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকাল তিনটার দিকে কমিটি ঘোষণাকালে কাঙ্খিত পদ না পেয়ে এক প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা সম্মেলনস্থলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্মেলনে আসা কর্মীরা দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। পরে শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাসন থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকাল তিনটার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণাকালে কাঙ্খিত পদ না পেয়ে এক প্রার্থীর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল প্রমুখ।
সম্মেলনে সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অধ্যাপক আব্দুল বারী বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন পদ প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার করেন। অন্যরা প্রত্যাহার করেনি। পরে আবুল কাসেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম শফি, আমির হোসেন এবং রকিব সরকারের নাম ঘোষণার পরপরই পদ বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা সম্মেলনস্থলে হৈচৈ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা সম্মেলনস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা মঞ্চের সামনে সহস্রাধিক চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, পতাকা স্ট্যান্ড, সাউন্ড সিস্টেম ভাঙচুর করে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এ তাণ্ডব চলতে থাকে। পরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।