Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলকাতা মাতাচ্ছে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’, দর্শকচাপে বাড়তি শো

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৬ এএম

কলকাতায় চলছে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। ২৯ অক্টোবর শুরু হওয়া উৎসবে বাংলাদেশের মোট ৩৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। উৎসবের প্রথম দিন থেকেই দর্শকের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশের সিনেমাগুলো। বিশেষত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ দেখার জন্য দর্শকরা রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করেছেন প্রদর্শনীর। উৎসবে সিনেমাটি দেখার সুযোগ লুফে নিয়েছেন কলকাতার দর্শকরা। দর্শকচাপে সিনেমটির শো বাড়ানোও হয়েছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতেই ‘হাওয়া’ সিনেমার ফেইসবুক পেইজে কলকাতার দর্শকদের জন্য জানানো হয় সুখবর। সেখানে বলা হয়, “প্রচুর দর্শকচাপে ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে হাওয়া সিনেমার শো সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অনেক ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা কাঁটাতারের ওপারের দর্শক এবং সমর্থকদের।”

আগে পরিকল্পনা ছিল, ২৯ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর—পাঁচ দিনের উৎসবে ‘হাওয়া’র চারটি শো হবে। কিন্তু সিনেমাটি দেখতে দর্শকের প্রবল আগ্রহের কারণে উৎসব কর্তৃপক্ষ আরও দুটি শো বাড়িয়েছে। দর্শকচাপে তারা বাধ্য হয়, সোমবার (৩১ অক্টোবর) ও আগামী বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নন্দন-১ হলে ‘হাওয়া’র আরও দুটি প্রদর্শনী দিতে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘উৎসবের প্রথম দিন নন্দনে ‘হাওয়া’র শো ছিল বেলা দেড়টায়। কিন্তু বেলা সোয়া ১১টায় দর্শকের লম্বা লাইন নন্দন ছাড়িয়ে গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শনশালার সামনে গিয়ে পৌঁছায়। সোশাল মিডিয়ায় আসা ছবি আর ভিডিওতেও নন্দনের বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কলকাতার নন্দন প্রাঙ্গণে কান পাতলে যেন শোনা যাচ্ছিল এই সুরই। থিক থিক করছে মাথা। পাঁচ হাজার মানুষ তো হবেই। শেষ হয় তো শ্রীভূমির দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে এমন ভিড় দেখা গিয়েছিল। প্রতিমা দর্শনের উত্তেজনার পর মনে হয় এই চঞ্চল দর্শনের ভিড়।’

শুধু ‘হাওয়া’ নয়, ৫ দিনব্যাপী এবারের এই উৎসবে বাংলাদেশের অন্যান্য ছবিগুলো নিয়েও বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে কলকাতার দর্শক। উৎসবে দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের ২৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এরমধ্যে চারটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র রয়েছে। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান এবং মধুমতি পাড়ের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান।

২৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্রগুলো হলো: গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়ম নূর, নোনা জলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুঁটি, গোর, গলুই, গণ্ডি, বিশ্বসুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মতো মানুষ পাইলাম না, ন ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর, ঊনপঞ্চাশ বাতাস।

এছাড়াও এই উৎসবে দেখানো হবে বাংলাদেশের ৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সেগুলো হচ্ছে ধড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাব তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা এবং আড়ং।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ