মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ব্রিটিশ আমলের একটি ঝুলন্ত সেতু ধসের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ১৪১ জনে পৌঁছেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মোরবি জেলায় মাচ্চু নদীর ওপর ওই ঝুলন্ত সেতুটি রোববার সন্ধ্যায় কয়েকশ’ মানুষ নিয়ে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। বিবিসি জানিয়েছে, সে সময় সেতুতে থাকা অনেকেই ছিটকে নদীতে পড়ে যান। সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে ভেঙে পড়া সেতু থেকে মানুষকে ঝুলে থাকতেও দেখা যায়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে ১৭৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরো অনেকে নিখেঁজ রয়েছেন, তাদের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চলছে। আহমেদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯ শতকে, ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়। স্থানীয়দের কাছে জুল্টো পুল নামে পরিচিত ২৩০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুতে অনেকেই বেড়াতে যান। সাত মাস বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ সেরে মাত্র চার দিন আগেই গুজরাতের নববর্ষের দিন খুলে দেয়া হয়েছিল সেতুটি। কেন সেটি ভেঙে পড়ল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গুজরাট প্রশাসন।
সেতু ধসের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান প্রশাসনের কর্মকর্তারা; শুরু হয় উদ্ধার কাজ। রাজ্য সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা এনডিটিভিকে বলেন, ‘সংস্কারের কাজ মাত্র গত সপ্তাহেই শেষ হল। আমরাও স্তম্ভিত। বিষয়টা আমরা অবশ্যই দেখব।’ আর স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রধান সন্দ্বীপসিং জালা বলেছেন, সংস্কার শেষে সেতুটি খুলে দেয়ার আগে ঠিকাদার প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভী বলেছেন, এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে তদন্তের জন্য।
দুর্ঘটনার সময় সেতুর ওপর পাঁচ শতাধিক মানুষ ছিল বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি খবরে। এনডিটিভি লিখেছে, সে সময় সেতুর উপরে অনেকে ছট পূজা করছিলেন। বহু নারী ও শিশু ছিল তাদের মধ্যে। প্রতীক ভাসাভা নামের একজন স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি সেতুর উপরে ছিলেন। পানিতে পড়ে যাওয়ার পর সাঁতরে তীরে ওঠেন। কয়েকটি শিশুকেও তিনি নদীতে পড়ে যেতে দেখেছেন। ‘আমি তাদের কয়েকজনকে আমার সাথে টেনে আনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা ডুবে গেছে কিংবা ভেসে গেছে।’ সুকরাম নামের আরেকজন বলেছেন, অনেক মানুষের চাপে সেতুটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন একজন আরেকজনের উপরে গিয়ে পড়ে।
সোশাল মিডিয়ায় আসা কিছু ভিডিওতে দুর্ঘটনার সময়ের বিশৃঙ্খলার চিত্রও এসেছে। সেখানে দেখা যায় ধসে পড়ার আগে সেতুটি দুলতে শুরু করেছিল। যে কেবলের ওপর সেতুটি ঝুলছিল, সেগুলো ছিঁড়তে শুরু করলে অন্ধকার নদীতে ভেঙে পড়ে সেতুটি। তখনও অর্ধেক ঝুলে থাকা সেতুর উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করছিলেন অনেকে। গুজরাট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য। রোববার ওই দুর্ঘটনার সময় তিনি গুজরাটেই ছিলেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য দুই লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।