প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক প্রায় দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ব্যয়বহুল চিকিৎসা শেষে এখন সুস্থ হওয়ার পথে খ্যাতিমান এ অভিনেতা। নতুন বছরের শুরুর দিকে দেশে ফিরতে পারেন তিনি।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে ফারুক বলেন, ‘এখন আমি সুস্থ, তারপরও টুকটাক ঝামেলা থাকেই। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছি, কথা বলতে পারছি। সবার দোয়ায় শরীর অনেক ভালো আগের চেয়ে।’
ঢাকাই সিনেমার ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন সামান্য অসুস্থতা আছে। শতভাগ সুস্থ হতে আরও দুই মাস সময় লাগবে। চাইলে এখনই দেশে ফিরে যেতে পারি। যেহেতু ডাক্তার আরও দুই মাসের কথা বলেছেন তাই তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু করতে হচ্ছে। আল্লাহ চাইলে নতুন বছরের শুরুর দিকে দেশে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।’
২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। অসুস্থতা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর থেকে হাসপাতালটিতে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ ও ‘নয়নমণি’, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু সিনেমায় ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।