বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পরকীয়ার সন্দেহে এক সন্তানের জননীকে গলায় ওড়না পেছিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে।
মারা গেছে ভেবে নির্জন জায়গায় স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। এরপর মুমূর্ষ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে জানান স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া এলাকায়। তবে এখন পর্যন্ত— থানা কোনো অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান।
জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়িহাট এলাকার আব্দুল হাই এর ছেলে আনারুল ইসলামের সাথে চিলমারী ইউনিয়নের ঢুষমারা এলাকার ছক্কু মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয় প্রায় ৬ বছর আগে। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে।
সূত্র বলছে, সুমির স্বামী আনারুল রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সুবাধে এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন। কাজ করার জন্য প্রায় সময় বাহিরের থাকতে হয় তাকে । বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ছোট ভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন এবং বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতেন তার স্বামী আনারুল ইসলাম । সন্দেহের কারণে কয়েক মাস আগে আনারুল তার স্ত্রী সন্তান শশুর বাড়ি রেখে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকা যান। এরপর বাহিরের থাকা অবস্থায় রাতে কিংবা দিনে ফোন দিয়ে মামার সাথেও অবৈধ সম্পর্ক আছে সন্দেহ করে বিভিন্ন ভাবে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন সুমি আক্তার।
ঘটনার দিন বুধবার ফোনে স্ত্রীকে জোড়গাছ ঝাকুয়া পাড়ায় (হরিণের বন) ডেকে নেন স্বামী আনারুল ইসলাম। এরআগে গত কয়েকদিন হয়েছে চিলমারীতে আসেন আনারুল ইসলাম। স্ত্রী সুমি আসলে কথা আছে বলে তাকে নিয়ে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং হঠাতেই ওড়না দিয়ে আনারুল তার স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেন। মারা গেছে ভেবে স্ত্রী সুমি কে ফেলে সেখান থেকে সটকে পড়েন আনারুল। পরে সুমির গোংরানী শব্দ পেয়ে দূরে জমিতে কাজ করা লোকজন ঘটনাস্থলে আসে এবং সুমিকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভুগী ওই নারী বলেন, দুপুরের দিকে নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। এরপর মারা গেছি ভেবে খোলা আকাশের নিচে ফেলে পালিয়ে যায় আমার স্বামী। ওই সময় ভেবেছিলাম আর বোধহয় ছেলে সন্তানের মুখটি দেখতে পাবো না। প্রায় ৩০মিনিট অজ্ঞান থাকার পর জ্ঞান ফিরে আসলে তখন কথা বলার শক্তি ছিলো না। পরে গলার শব্দ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দেন।
সুমি আক্তার জানায়, আমার স্বামী আমার দেবর, মামাসহ বিভিন্ন জনকে নিয়ে সন্দেহ করে এবং বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল, যদিও আমি কোন অপরাধ করিনি এরপরেও আমি সব নির্যাতন সহ্য করে আসছি ।
স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১২টার দিকে আমরা কাজ করার সময় হঠাৎ গোংরানী করার শব্দ আসছিলো পরে আমরা ওই নারীকে দেখতে পাই। এরপর তার পরিবার কে খবর দেই।
এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানায় চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।