Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একইভাবে দুই স্বামীর মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

১২ বছর আগে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছিলেন সনি গ্রাহাম। টেরি কোটল নামে যে ব্যক্তির কাছ থেকে হৃৎপিণ্ড পেয়েছিলেন, পরে তারই বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন গ্রাহাম। তবে চমকে উঠার মতো বিষয় হলো, গ্রাহাম ও টেরি কোটলের মৃত্যু হয় একই ভাবে। তারা দুই জনই আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানিয়েছিল, মুখে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন দুই জনই। মৃত্যুর সময় টেরির বয়স ছিল ৩৩ ও গ্রাহামের বয়স হয়েছিল ৬৯। ঘটনার তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল গ্রাহামের মৃত্যুর কারণ খুন বা অন্যকিছু নয়। আত্মহত্যাই করেছিলেন তিনি। জর্জিয়া ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের বিশেষ এজেন্ট গ্রেগ হার্ভে জানিয়েছিলেন, গ্রাহামের মরদেহ তারই বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার করা হয়। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সি পাইনসে ‘হেরিটেজ গল্ফ টুর্নামেন্টের’ পরিচালক ছিলেন গ্রাহাম। এরপর ১৯৯৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, শিগগির হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন না করা হলে তাকে বাঁচানো যাবে না। এরপর গ্রাহামকে জানানো হয়, চার্লসটনে এক হৃদপিণ্ডদাতার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। দাতার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরা অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও গ্রাহামকে জানানো হয়। ওই দাতাই ছিলেন টেরি। টেরির হৃদপিণ্ড পাওয়ার পরই তা প্রতিস্থাপন করা হয় গ্রাহামের শরীরে। অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন গ্রাহাম। এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গ্রাহাম একের পর এক চিঠি পাঠাতে থাকেন টেরির পরিবারকে। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে টেরির বিধবা স্ত্রী চেরিল কোটলের সঙ্গে চার্লসটনে দেখা করেন গ্রাহাম। চেরিল তখন ২৮ বছর বয়সী যুবতী। এরপর গ্রাহাম এবং চেরিল নিয়মিত দেখা করা শুরু করেন। সেখান থেকেই একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব গড়িয়ে প্রেম। সিএনবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একইভাবে দুই স্বামীর মৃত্যু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ