নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।পিএসজির আক্রমণভাগের এই তিন খেলোয়াড় 'ম্যাজিকাল ত্রয়ী' হিসেবে পরিচিত অনেকের কাছে। বর্তমান ফুটবলের অন্যতম সেরা এই তিন ফুটবলারকে 'ত্রিরত্ন' হিসেবেও ডাকেন অনেকে।এদের মধ্যে একজনের ম্যাচ ভালো গেলেও কাজ সেরে যায় ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির।দুই জনের ভালো খেললে ত কথায় নেই।আর গতকাল তিন তারকা জ্বলে উঠলেন এক সঙ্গে।আর তাতে জ্বলে পুড়ে ছারখার প্রতিপক্ষ ম্যাকাবি খাইফা।
ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে মঙ্গলবার ‘এইচ’ গ্রুপের ইসরায়েলী ক্লাবটিকে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা।পিএসজির জয়ে জোড়া গোলের আলো ছড়ান মেসি ও এমবাপে।একটি করে গোল এসেছে নেইমার ও কার্লোস সোলের পা থেকে।অপর গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে পিএসজি।শুরুর মাত্র দশ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যেতে পারত ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি। নেইমারের বক্সে বাড়ানো বল ফাবিয়ান রুইজ গোলকিপারকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি।
১৯ মিনিটে প্রথম গোলটি পাওয়ার আগে আরো দুইটি সুযোগ নষ্ট করে দলটি।এম্বাপের এসিস্ট থেকে বা প্রান্ত থেকে মেসির নেওয়া বা পায়ের কার্ল শট লক্ষ্য ভেদ করলে এগিয়ে যায় পিএসজি।৩২ মিনিটে দলটির দ্বিতীয় গোলটিও আসে একইভাবে।তবে এবার গোলদাতা ছিলেন এম্বাপে নিজেই।
এর মিনিট তিনেক পর আসা তৃতীয় গোলটির কারিগরও ছিলেন 'এম-এন-এম' জুটি।এবার এমবাপের পা ঘুরে বল যায় মেসির কাছে। তার পাস থেকে বল পেয়ে আলতো শটে ফার পোস্ট দিয়ে গোলকিপার পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন নেইমার। তিন গোল হজমের পর অবশ্য ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান ম্যাকাবির আবদুলায়ে সেক।
বিরতিতে যাওয়ার আগেই মেসির গোলে ফের তিন গোলের লিড নেয় পিএসজি। মেসির জোড়া গোলটির এসিস্টের ভুমিকায়ও ছিলেন এমবাপে।বিরতির পর মাঠে ফিরেই আবদুলায়ে সেক আরেকটি গোল করলে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে থাকে ম্যাকাবি।
জয় নিশ্চিতে আরো গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে।৬৪ মিনিটে এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশে স্কোরলাইন ৫-২ করে পিএসজি।একটু পর নেইমারের শট ম্যাকাবি খেলোয়াড় গোল্ডবার্গের পায়ে লেগে জালে জড়ালে অর্ধ ডজন গোল পূর্ণ হয় ফ্রেঞ্চ দলটির।
৭৬তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পেতে পেতেও পাননি মেসি।একটু দুরূহ কোণ থেকে তার নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৮৪ তম মিনিটে বদলি নামা কার্লোস সোলের শেষ গোলটি করেন।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি জুভেন্টাসের। সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে তাদেরকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে বেনফিকা। পিএসজির সমান ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে পর্তুগালের দলটি।
পাঁচ ম্যাচে ৩ করে পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে জুভেন্টাস ও ম্যাকাবির। দুই দলের সামনেই আছে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে থেকে ইউরোপা লিগে জায়গা পাওয়ার ম্যাচ।
গ্রুপের শেষ রাউন্ডে আগামী বুধবার জুভেন্টাস মুখোমুখি হবে পিএসজির। আর বেনফিকার বিপক্ষে লড়বে খাইফা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।